Advertisement
E-Paper

যাদবপুরে ৩ গুরুত্বপূর্ণ পদে এক জনই

যাদবপুরে বিভাগ ও স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৬০। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে পরীক্ষাও প্রচুর। সিমেস্টার শেষের পরীক্ষাগুলি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, চলবে দু’মাস ধরে।

মধুমিতা দত্ত

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩৭
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শীর্ষ পদ দীর্ঘদিন শূন্য পড়েছিল। এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ব্যক্তি সামলাচ্ছেন তিন-তিনটি পদ।

চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন। সেই কাজ ছাড়াও এই মুহূর্তে তাঁকে সামলাতে হচ্ছে পরীক্ষা নিয়ামক এবং কলা বিভাগের ডিনের দায়িত্ব। পা ভেঙে যাওয়ায় কিছু দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না কলা বিভাগের ডিন শুভাশিস বিশ্বাস। সেই দায়িত্ব চেপেছে চিরঞ্জীববাবুর উপরে। সম্প্রতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেন্টার ও স্কুলের কোর্সে অর্থের বিনিময়ে ফলপ্রকাশের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টিতে জড়িয়েছে পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগের নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি পরীক্ষা নিয়ামককে ছুটিতে পাঠিয়ে ওই বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার চিরঞ্জীববাবুকে পরীক্ষা নিয়ামকের দায়িত্বও নিতে বলা হয়েছে।

যাদবপুরে বিভাগ ও স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৬০। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে পরীক্ষাও প্রচুর। সিমেস্টার শেষের পরীক্ষাগুলি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, চলবে দু’মাস ধরে। কিছু দিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে নতুন পড়ুয়াদের ভর্তি প্রক্রিয়া। কলা বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ স্নাতকে ভর্তি নিতে চায় শুধু প্রবেশিকার ভিত্তিতে। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলেছে কর্মসমিতি। ভর্তি সংক্রান্ত পুরো বিষয়টিকে কলা বিভাগের ভর্তি কমিটির কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে জট ছাড়াতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিনকে খুব তাড়াতাড়ি কলা বিভাগের ভর্তি কমিটির বৈঠক ডাকতে হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশের অভিমত।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে কর্মসমিতি এ রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য ৯০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের যে-সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা এ বার রাজ্য সরকারের কাছে যাওয়ার কথা। কিন্তু পড়ুয়াদের একাংশ দাবি তুলেছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সব পড়ুয়ার মতামত নিয়ে যেন বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ করে। এই সব বিষয় সামলানোর দায়িত্বে রয়েছেন চিরঞ্জীববাবু। এর আগে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিনের দায়িত্বের সঙ্গে সঙ্গে টানা আট মাস রেজিস্ট্রার পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এই মুহূর্তে যাদবপুরের উপ-অর্থ অফিসার এবং যুগ্ম রেজিস্ট্রারের পদও খালি। দু’জনেই লিয়েন নিয়ে অন্যত্র কর্মরত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এ দিন জানান, যে-কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এটা খুবই ব্যস্ত সময়। তার মধ্যে এক জন সামলাচ্ছেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষাকর্মীকে ভোটের কাজে নেওয়া হয়েছে। ‘‘এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হবে কি না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে,’’ বলেন পার্থপ্রতিমবাবু। তবে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর দাবি, সব কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছে, হবেও। ভোটের কাজে কর্মীরা মাত্র কয়েক দিন ব্যস্ত থাকবেন। তিনি বলেন, ‘‘সব কাজের মধ্যে আমরা রবীন্দ্রজয়ন্তীর আয়োজনও করেছি। এই তো রিহার্সাল দিয়ে ফিরলাম।’’

University of Jadavpur Academics Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy