ক্যানসারের সংক্রমণ ছড়িয়েছে ফুসফুসে। ছ’টি কেমো দেওয়া হয়েছে। একেবারে শেষ অবস্থা। পরিজনেদের বক্তব্য, বিনপুরের বছর চৌত্রিশের শেখ মকিম আলিকে তাই লকডাউনের মধ্যেও বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ভেলোরের সিএমসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
৪৫ হাজার টাকায় অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে ১৬৩৮ কিলোমিটার পথ উজিয়ে ফিরলেন মকিম। কিন্তু বিনপুরের নয়াগ্রামের বাড়িতে নয়, শনিবার রাতে দিনমজুর মকিম ও তাঁর ভাই শেখ শামিমের ঠাঁই হল ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড়ের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে। সেখানে তাঁকে খেতে দেওয়া হল লুচি, মশলা দেওয়া ঘুগনি, চপ। ভিন্ রাজ্য থেকে আসায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিভৃতবাসে যেতে আপত্তি নেই। কিন্তু লালগড়ের কিসান বাজারে লেবার রিলিফ ক্যাম্পের নিভৃতবাসের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মকিমের পরিবার। শামিমের অভিযোগ, মকিমকে স্নানের জন্য গরম জলও দেওয়া হচ্ছে না।
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রোগীর ধকল হয়েছে। কিন্তু ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকতেই হবে। তার আগে কিছু করা সম্ভব নয়।’’ নিভৃতবাসের পরিবেশ নিয়ে মকিমদের পরিবারের অভিযোগ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা শুধু বলেছেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের যা করণীয়, তা আমরা করছি।’’ এর বাইরে আর কিছুই বলতে রাজি নন তিনি।