নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি ফের রাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা বাড়ল। তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সংক্রমণের হার বা ‘পজিটিভিট রেট’ কমেছে। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সুস্থতার হার।
শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবারের মতোই একদিনে কোভিড রোগীর মৃতের সংখ্যা ৫২। যদিও শুক্রবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৬। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৮ হাজার ৩২২ জনের সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের মধ্যে কলকাতায় সবচেয়ে বেশি ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার পরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার নাম। ওই জেলায় দৈনিক ৯ জন কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন। এছাড়া, ওই একই সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭ এবং হুগলিতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্যে জেলার মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, নদিয়া এবং হাওড়াতে ২ জন করে সংক্রমিত মারা গিয়েছেন। পাশাপাশি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং দুই মেদিনীপুরে ১ জন করে রোগী মারা গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রায় গৃহবন্দি রইলেন শুভেন্দু, রবিবার কী বলবেন মহিষাদলে, জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন: অভিষেকের বৈঠকে মৌসম-সাবিত্রী গরহাজির, মালদহের ৮ নেতার ৫ উপস্থিত
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৫৩৭।
এ রাজ্যে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হলেও স্বাস্থ্য দফতরকে খানিকটা স্বস্তি জোগাচ্ছে দৈনিক সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তা দাঁড়িয়েছে ৯৩.১২ শতাংশে। শুক্রবারের (৯৩.০৬ শতাংশ) থেকে যা সামান্য বেশি।
এ রাজ্যে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হলেও স্বাস্থ্য দফতরকে খানিকটা স্বস্তি জোগাচ্ছে দৈনিক সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তা দাঁড়িয়েছে ৯৩.১২ শতাংশে। শুক্রবারের (৯৩.০৬ শতাংশ) থেকে যা সামান্য বেশি।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
সুস্থতার হারে উন্নতি দেখা দিলেও দৈনিক সংক্রমণের হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য জুড়ে ৪৫ হাজার ১৮৩টি টেস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৯টি টেস্ট পজিটিভ এসেছে। এর ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৭.৬৬ শতাংশে। যা আগের দিনের থেকে সামান্য কম। শুক্রবার তা ছিল ৭.৭৩ শতাংশ।
সুস্থতার হারে উন্নতি দেখা দিলেও দৈনিক সংক্রমণের হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য জুড়ে ৪৫ হাজার ১৮৩টি টেস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৯টি টেস্ট পজিটিভ এসেছে। এর ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৭.৬৬ শতাংশে। যা আগের দিনের থেকে সামান্য কম। শুক্রবার তা ছিল ৭.৭৩ শতাংশ।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যার মতোই গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের মধ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাতেও শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, একদিনে এ শহরে ৮৯০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলায় ৮৮৩ জন কোভিড রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৩৬), নদিয়া (২৩৮), হুগলি (১৯৫), হাওড়া (১৬৪), দার্জিলিং (১১৪), পূর্ব বর্ধমান (১১৪) এবং পশ্চিম বর্ধমান (১১৫)-এর দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যান।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)