ভাবনায় গলদ ছিল তা নয়। কিন্তু আট মাস পরে সেই ভাবনার উল্টো ফল এখন ভাবাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের উপরে করোনা রোগীদের চাপ কমাতে একসময় ‘হোম আইসোলেশনে’র উপরে জোর দিয়েছিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মৃত্যুহার আটকানোর ক্ষেত্রে ‘হোম আইসোলেশনে’ থাকা সেই রোগীরাই এখন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের মধ্যে ৭৫ শতাংশ আক্রান্তই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। উৎসবের মরসুমে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যে সেই পরিসংখ্যান ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে বলে খবর। গত ১২ অক্টোবর বঙ্গে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০৬০৪ জন। তার মধ্যে হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড রোগীর সংখ্যা ২২৩৬৬ জন। মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫১৭০ জন। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হোম আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ অক্টোবর পর্যন্ত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২৬৮২৪ জন। এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা।
বুধবার স্বাস্থ্য দফতর কর্তৃক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, এদিন চব্বিশ ঘণ্টায় ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এখন মৃত্যুর হার ১.৮৭ শতাংশ। জেলাস্তরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যানের চুলচেরা বিশ্লেষণে প্রতি সপ্তাহে একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট প্রকাশ করে স্বাস্থ্য ভবন। সেই রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ (৮-১৪ অক্টোবর) তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের আটটি জেলায় মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।