দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ‘প্যানেল’ বা নিয়োগ-তালিকা বাতিল হয়ে গিয়েছিল সাত বছর আগে। এত দিন পরে সেই তালিকার প্রার্থীরাই কৃষি দফতরে চাকরি পেতে চলেছেন।
একেবারে নিচু তলার করণিক-পদে কর্মী নিয়োগের ওই তালিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কৃষি দফতর এফআইআর করেছে পুলিশের কাছে। আদালতের নির্দেশে সেই তালিকাটিকেই শিরোধার্য করে শুক্রবার বিজ্ঞাপন দিয়েছে ওই দফতর। নির্বাচিত প্রার্থীদের আসল নথিপত্র নিয়ে দফতরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞাপনে। কৃষি দফতর সূত্রের খবর, বাতিল তালিকার প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার উদ্যোগের পাশাপাশি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন কিছু কৃষিকর্তার বিরুদ্ধে মামলা যথারীতি চলবে।
কৃষি দফতরের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের ৩৩১টি পদে নিয়োগের জন্য ২০০৭ সালে, বাম আমলে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতে ৯৯৩ জনের একটি প্যানেল প্রকাশ করে ওই দফতর। কিন্তু প্রার্থী নির্বাচনে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের গুরুতর অভিযোগ ওঠে। আরও একটি অভিযোগ ছিল, পরীক্ষায় বসার জন্য ৩১ হাজার প্রার্থীর কাছে অ্যাডমিট কার্ডই পাঠানো হয়নি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি প্রায় হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় ২০০৮ সালে ওই প্যানেল বাতিল বলে ঘোষণা করে তৎকালীন বাম সরকার। সেই ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রথমে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট) বা রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে এবং পরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কিছু প্রার্থী। আদালত নির্দেশ দেয়, প্রকাশিত মেধা-তালিকার ভিত্তিতেই নিয়োগ করতে হবে। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই এ দিন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।