Advertisement
০১ মে ২০২৪

ফের সিপিএমের জাঠায় হামলা, অভিযুক্ত শাসক দল

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের পর বামেদের জাঠায় ফের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার আসানসোলের জামুড়িয়া ও বারাবনিতে এমনই অভিযোগ উঠল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৫ ১৯:০৮
Share: Save:

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের পর বামেদের জাঠায় ফের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার আসানসোলের জামুড়িয়া ও বারাবনিতে এমনই অভিযোগ উঠল।

জামুড়িয়ার বালানপুর গ্রামে তৃণমূলের লোকজন জাঠার অদূরে বোমাবাজি ও স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খানকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তৃণমূলের যদিও দাবি, জাঠা থেকে নিজেরাই বোমাবাজি করে তাদের নামে দোষ দিচ্ছে সিপিএম। বিধায়ককে হেনস্থার কথাও অস্বীকার করেছে তারা।

এ দিনই বারাবনির পানুড়িয়া গ্রামে তৃণমূলের কিছু কর্মী বামেদের জাঠায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সে নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি মোটরবাইক। মারপিট থামাতে গিয়ে এক পুলিশকর্মী আহত হন। সিপিএম নেতাদের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিরোধে তৃণমূলের লোকেরা পিছু হঠে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, জাঠা থেকে সিপিএম কর্মীরা তাদের কর্মীদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করেছে।

অন্য দিকে, হুগলির তারকেশ্বরে শুধু জাঠায় হামলা নয়, সিপিএমের জোনাল কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল এ দিন বিকেলের তারকেশ্বর। হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে কার্যালয়ের দোতলায় উঠে গ্রিলে তালা দিয়ে রাখলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ শক্তিমোহন মালিক-সহ অন্য নেতারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। ঘটনার জেরে তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা।

জেলা সিপিএম সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘স্থানীয় পুলিশ প্রথমে ফোন ধরেনি। তারা চোখ-কান বুজে ছিল। বর্বরোচিত আক্রমণ করা হল।’’ তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ মানেনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল সওয়া ৩টে নাগাদ রামনগরে সিপিএমের জাঠা মিছিল শুরু হয়। মিছিলে ছিলেন দলের প্রাক্তন সাংসদ শক্তিমোহন মালিক, জোনাল সম্পাদক মুকুল ঘোষ প্রমুখ। অভিযোগ, জোনাল কার্যালয়ের কিছুটা আগে মিছিলে হামলা করে তৃণমূলের বাইক বাহিনী। তা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এর পরে মিছিলকারীদের অনেকে দলের জোনাল কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। লাঠি হাতে তৃণমূলের এক দল লোক সেখানে চড়াও হয়। অবাধে ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ও দমকল আসে।

জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্তের অবশ্য দাবি, ‘‘ওরাই আমাদের কর্মী-সমর্থদের মারধর করেছে। তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। নিজেরাই কয়েকটা খবরের কাগজে আগুন ধরিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPIM attacked accused TMC jatha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE