Advertisement
Back to
Election Commission of India

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জের, ভিভিপ্যাটের ‘সিম্বল লোডিং ইউনিট’ সংরক্ষণ করা হবে, বলল কমিশন

পাশাপাশি, বুধবার কমিশন জানিয়েছে, ‘সিম্বল লোডিং ইউনিট’কে গোলাপি পেপারে সিল করে ট্রাঙ্কে সুরক্ষিত রাখতে হবে। সিলের উপর স্বাক্ষর করবেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সব প্রার্থী।

ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট।

ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৪ ১৮:৩৯
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে ভিভিপ্যাটের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। নির্দেশের প্রেক্ষিতে ‘সিম্বল লোডিং ইউনিট’ সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-কে ওই মর্মে নির্দেশ দিল কমিশন। তারা জানিয়েছে, গণনার পরে ৪৫ দিন ওই ইউনিটকে সংরক্ষণ করা হবে।

পাশাপাশি, বুধবার কমিশন জানিয়েছে, ‘সিম্বল লোডিং ইউনিট’কে গোলাপি পেপারে সিল করে ট্রাঙ্কে সুরক্ষিত রাখতে হবে। সিলের উপর স্বাক্ষর করবেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সব প্রার্থী। ওই সব ইউনিটকে সুরক্ষিত ভাবে রাখবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা জেলা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এই পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ নামে একটি সংগঠন ইভিএমের সঙ্গে সব ভিভিপ্যাট গণনার দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সিম্বল লোডিং ইউনিটে প্রার্থীদের নাম ও নির্বাচনী প্রতীক থাকে। সেখান তথ্য ভিভিপ্যাটে প্রবেশ করানো হয়। তার পর সেই ভিভিপ্যাটগুলি বুথে পাঠানো হয়। অর্থাৎ, সিম্বল লোডিং ইউনিট এবং ভিভিপ্যাটের তথ্য এক হবে। তাই ভিভিপ্যাট নিয়ে সংশয় থাকলে সিম্বল লোডিং ইউনিট যাচাই করলেই সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। এমতাবস্থায় ভিভিপ্যাটের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল ওই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ভিভিপ্যাট নিয়ে সংশয় দূর করতে সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষণ করতে হবে। গণনায় দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রার্থী তা যাচাই করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ সমস্ত ভোটের বুথে ইভিএমের ফলের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখার আবেদন খারিজ করে দেয়। ভিভিপ্যাট পদ্ধতির মাধ্যমে কাগজের স্লিপ-সহ বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে (ইভিএম) পাওয়া ভোটের ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের (ক্রস-ভেরিফিকেশন) দাবিতে ওই আর্জির শুনানির পরে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ভোটের ফল ঘোষণার সাত দিন পরে নির্দিষ্ট অঙ্কের ‘ফি’ জমা দিয়ে ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনার আবেদন জানানো যেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE