Advertisement
E-Paper

বোর্ড গঠন রুখতে সিপিএম মহিলা সদস্যকে বিবস্ত্র করে মারের অভিযোগ

গোটা ঘটনা নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় এলাকা। সিপিএমের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের এই হামলায় প্রায় ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৮ ২১:১৯
 প্রধান পদ প্রার্থী পার্বতী ছেত্রী। (বাঁ দিকে)

প্রধান পদ প্রার্থী পার্বতী ছেত্রী। (বাঁ দিকে)

বিরোধীদের পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা রুখতে বিরোধী দলের প্রধান পদ প্রার্থীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, অপহরণকারীদের বাধা দিলে রাস্তার ওপর সেই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা ব্লকে।

গোটা ঘটনা নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় এলাকা। সিপিএমের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের এই হামলায় প্রায় ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নাগরাকাটা ব্লকের আড়ংভাসা গ্রাম পঞ্চায়েত। সাত আসনের এই অঞ্চলে তিনটি আসন জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি চারটি সিপিএম। শুক্রবার সকালে বিডিও-র ডাকা বোর্ড গঠনের বৈঠকে যোগ দিতে পঞ্চায়েত অফিসে যাচ্ছিলেন সিপিএমের জয়ী প্রার্থীরা।

আরও পড়ুন: কনের সাজে নগ্ন ছবি! প্রাণনাশের হুমকির মুখে বাঙালি ফোটোগ্রাফার

অভিযোগ, রাস্তাতেই তাঁদের পথ আটকায় কিছু দুষ্কৃতী। তারা সিপিএম প্রার্থীদের মধ্যে থেকে প্রধান পদ প্রার্থী পার্বতী ছেত্রীকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। তিনি বাধা দিলে তাঁকে বিবস্ত্র করে দেয় দুষ্কৃতীরা। পার্বতী বলেন, “আমার শাড়ি খুলে নেয়। আমি রাস্তা দিতে দৌড়তে থাকি। কিছুটা দৌড়ে এক জনের বাড়ি ঢুকে যাই। তাঁর পোশাক পরে আমি বাইরে এসেছি।”

অন্য দিকে, তত ক্ষণে রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় এলাকা। সিপিএম কর্মী ও প্রার্থীদের দাবি, এর পরই দুষ্কৃতীরা পাথর বৃষ্টি শুরু করে। লাঠি রড নিয়ে হামলা চালায়। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জিয়াউল আলম বলেন, “ঘটনা ঘটার সময় পুলিশ ছিল। কিন্তু তাঁরা নিষ্ক্রিয় ছিল। এমনকি বিডিওকে বার বার ফোন করা সত্ত্বেও তিনি ফোন তোলেননি।”

আরও পড়ুন: ডোনার না পেলে নিজেই ভিকি... না জানিয়ে মহিলাদের নিজের স্পার্ম, চিকিৎসকের জেল

সিপিএমের অভিযোগ, প্রধান পদপ্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিডিওর ডাকা নির্দিষ্ট মিটিংয়ে মাত্র তিন জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের। ফলে তাঁরা সংখ্যা গরিষ্ঠতা এ দিন প্রমাণ করতে পারেননি।

তবে, সিপিএমের কোনও অভিযোগ আদৌ আমল দিতে চাননি তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ওরা ৩৪ বছরে অনেককে মারধর করেছে। সাই মার খাওয়া মানুষই হয়তো পাল্টা মেরেছে।” তাঁর বক্তব্য, সিপিএম সদস্যরা কেন বোর্ড গঠনের মিটিংয়ে পৌঁছতে পারেননি সেটা তাঁদের ব্যাপার। তাঁরা তো পুলিশে কোনও অভিযোগও জানায়নি। সেই সঙ্গে এই তৃণমূল নেতার দাবি, তাঁরাই জলপাইগুড়ির সব ক’টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করবেন।’’

TMC CPM Police Attack Panchayat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy