Advertisement
১৭ মে ২০২৪

পাল্টা নালিশে বিধায়ক, সাংসদরা

নবান্ন অভিযানকে ঘিরে এ বার রাজ্য প্রশাসনের উপরে চাপ তৈরির কৌশল নিল সিপিএম। দলের সাংসদ-বিধায়কদের সে দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেন থানায় আটকে রাখা হল, সেই প্রশ্ন তুলে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করল তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৭ ০৩:১৪
Share: Save:

নবান্ন অভিযানকে ঘিরে এ বার রাজ্য প্রশাসনের উপরে চাপ তৈরির কৌশল নিল সিপিএম। দলের সাংসদ-বিধায়কদের সে দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেন থানায় আটকে রাখা হল, সেই প্রশ্ন তুলে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করল তারা। বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী পুলিশের আচরণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের কাছে। আর সাংসদ ও প্রাক্তন সাংসদদের হয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করেছেন মহম্মদ সেলিম।

‘নবান্ন অভিযান’ সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হওয়ার আগেই বিধানসভা থেকে সুজনবাবুর নেতৃত্বে ২১ জন বিধায়ক নবান্নের গেটে পৌঁছে গিয়েছিলেন। নবান্নের গেট থেকে তাঁদের আটক করে শিবপুর পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। সুজনবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমাদের নবান্নে ঢুকতে বাধা দিয়ে পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয় বেলা ১২টা ২০ মিনিটে। আমরা বারবার বলেছিলাম, যদি গ্রেফতার করা হয়ে থাকে, তা হলে অ্যারেস্ট মেমো দিন। আমাদের আদালতে পেশ করুন। কিন্তু কিছুই না করে আটকে রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রাত ৮টায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৮টা ২৫-এ ছেড়ে দেওয়া হয়। জনপ্রতিনিধিদের বেআইনি ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল সে দিন।’’

একই বক্তব্য সেলিমেরও। নবান্ন অভিযানের দিন পিটিএসের সামনের জমায়েত থেকে সাংসদ সেলিম ও দুই প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম এবং শমীক লাহিড়ীকে নিয়ে গিয়ে নানা রাস্তায় ঘুরিয়ে শেষমেশ হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেলিমের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ এমনি ছেড়ে দিতে চেয়েছিল এক সময়। কিন্তু আমরা রাজি হইনি। আটক করার পাঁচ ঘণ্টা পরে গ্রেফতার দেখানো হয়। জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে এটা বেআইনি আটক করা।’’ সে দিনের গোটা ঘটনা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার কথাও ভাবছেন সেলিমেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Protest Rally Nabanna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE