Advertisement
E-Paper

বেশি বেতনের চাকরি কলকাতার পড়ুয়াদের

মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ‘র‌্যাঙ্কিং (এনআইআরএফ) ২০১৯’-এর প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়ে পড়ুয়ারা যাদবপুরের পড়ুয়াদের তুলনায় বেশি মাইনের চাকরি পাচ্ছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫৬

কেন্দ্রীয় মূল্যায়নে একেবারে ন’ধাপ এগিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এ বার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে পিছনে ফেলে দিয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ‘র‌্যাঙ্কিং (এনআইআরএফ) ২০১৯’-এর প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়ে পড়ুয়ারা যাদবপুরের পড়ুয়াদের তুলনায় বেশি মাইনের চাকরি পাচ্ছেন।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে কলকাতা এ বার পেয়েছে পঞ্চম স্থান। ষষ্ঠ যাদবপুর। এই র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচটি বিষয়ের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হল টিচিং লার্নিং অ্যান্ড রিসোর্সেস, রিসার্চ অ্যান্ড প্রফেশনাল প্র্যাক্টিস, গ্র্যাজুয়েশন আউটকামস, আউটরিচ অ্যান্ড ইনক্লুসিভিটি এবং পারসেপশন। দেখা যাচ্ছে, টিচিং লার্নিং অ্যান্ড রিসোর্সেস, গ্র্যাজুয়েশন আউটকামস এবং আউটরিচ অ্যান্ড ইনক্লুসিভিটি-তে যাদবপুরের থেকে এগিয়ে গিয়েছে কলকাতা। অন্য দু’টিতে যাদবপুর এগিয়ে। টিচিং লার্নিং অ্যান্ড রিসোর্সেসে কলকাতা পেয়েছে ৬২.২৬। যাদবপুরের প্রাপ্তি ৫৪.৪০। গ্র্যাজুয়েশন আউটকামসে কলকাতা পেয়েছে ৯১.৫৪। যাদবপুর ৯০.২৮। আউটরিচ অ্যান্ড ইনক্লুসিভিটি-তে কলকাতা পেয়েছে ৬০.১৪। যাদবপুরের প্রাপ্তি ৪৪.৯৫।

গ্র্যাজুয়েশন আউটকামসের মধ্যে বিচার্য ছিল, কত শতাংশ পড়ুয়া পাশ করে চাকরি পেলেন। তাঁদের গড় মাইনে কত। কত পড়ুয়া উচ্চশিক্ষার জন্য অন্য নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন। পিএইচডি করলেন ক’জন। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কেই এই সব তথ্য পাঠাতে হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, কলকাতার পড়ুয়ারা পড়াশোনা শেষে যাদবপুরের পড়ুয়াদের তুলনায় বেশি মাইনের চাকরি পাচ্ছেন। বছর যত গড়িয়েছে, গড় বেতন বেড়েই চলেছে। কিছু ক্ষেত্রে কলকাতার পড়ুয়াদের চাকরি পাওয়ার হারও বেশি। কলকাতার দু’বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সে উত্তীর্ণেরা যাদবপুরের তুলনায় মাইনে তো বেশি পাচ্ছেনই। বছর যত এগিয়েছে, তা বাড়ছেও। ২০১৫-১৬ সালে ৫৪২৭ জন পাশ করেছেন। চাকরি পেয়েছেন ৯৬ জন। গড় মাইনে ছ’লক্ষ। ২০১৭-১৮ সালে সেটা হয়েছে আট লক্ষ ১৬ হাজার। যাদবপুরের অনুরূপ কোর্সে উত্তীর্ণদের গড় মাইনে চার লক্ষ ৩৯ হাজার। ২০১৭-১৮ সালে তা কমে গিয়ে হয়েছে চার লক্ষ ১৬ হাজার টাকা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

গত তিন বছরে যাদবপুরে তিন বছরের স্নাতক কোর্সে উত্তীর্ণদের বেশির ভাগই উচ্চশিক্ষায় গিয়েছেন। ২০১৫-১৬ সালে কলকাতার ওই কোর্সে ৭১৮ জন পাশ করেছেন। চাকরি পেয়েছেন ২৩৯ জন। গড় মাইনে ছ’লক্ষ টাকা। ২০১৭-১৮ সালে তা বেড়েছে। ৭২৫ জন পাশ করেন, চাকরি পেয়েছেন ৪২৪ জন। গড় মাইনে আট লক্ষ চার হাজার ৪০০।

যাদবপুরে চার বছরের স্নাতক কোর্স বলতে মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং। জয়েন্ট এন্ট্রান্সে সেরা সফল পড়ুয়ারা ভর্তি হন সেখানে। তাঁদের অধিকাংশই ক্যাম্পাসিংয়ে চাকরি পেয়ে যান। এনআইআরএফের তথ্য বলছে, সেখানেও বেতনের ক্ষেত্রে কলকাতার থেকে যাদবপুর পিছিয়ে। কলকাতায় ২০১৬-১৭ সালে ৩৩ জন পাশ করে চাকরি পেয়েছেন ২৭ জন। বছরে গড় মাইনে পাঁচ লক্ষ চার হাজার টাকা। ২০১৭-১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ছ’লক্ষ ৪০ হাজার। যাদবপুরে ২০১৬-১৭ সালে চার বছরের স্নাতক কোর্স পাশ করা পড়ুয়াদের গড় বেতন ছিল পাঁচ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। ২০১৭-১৮ সালে তা কমে গিয়েছে। যাদবপুরে প্লেসমেন্ট সেল রয়েছে কয়েক বছর ধরে। কলকাতায় সেই অর্থে প্লেসমেন্ট সেল নেই। এর জন্য কয়েক জন কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও নিয়োগ হয়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।

আউটরিচ অ্যান্ড ইনক্লুসিভিটিতে যাদবপুরের তুলনায় বেশি ‘স্কোর’ কলকাতার। এ ক্ষেত্রে বিচার্য পড়ুয়াদের মধ্যে আঞ্চলিক বৈচিত্র, ছাত্রী ও পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ার সংখ্যা এবং প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের জন্য সুযোগ-সুবিধা। প্রতিবন্ধীদের সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে দুই বিশ্ববিদ্যালয় একই রকম তথ্য দিয়েছে। দু’পক্ষই জানিয়েছে, ৮০ শতাংশেরও বেশি ভবনে লিফট, র‌্যাম্প রয়েছে। প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের উপযোগী শৌচাগার ৮০ শতাংশের বেশি। এক ভবন থেকে অন্যত্র যেতে রয়েছে হুইলচেয়ার, অন্যান্য ব্যবস্থা।

এ বার ফার্মাসিতে পঁচাত্তরের মধ্যে রয়েছে এ রাজ্যের দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৬৪তম স্থান পেয়েছে গুরু নানক ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। এনএসএইচএম নলেজ ক্যাম্পাস আছে ৬৮ স্থানে।

NIRF Rankings 2019 Calcutta University Jadavpur University
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy