এক জেলায় দু’লক্ষের বেশি। অন্য জেলায় ছাড়িয়েছে আড়াই লক্ষের গণ্ডি।
আমপানের ক্ষতিপূরণ পেতে দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতি ও শুক্রবার ফের আবেদন জমার সুযোগ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই দু’দিনে বিপুল আবেদন জমা পড়েছে দুই মেদিনীপুরে। পূর্ব মেদিনীপুরে ২ লক্ষ ৭ হাজার, আর পশ্চিম মেদিনীপুরে ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৩১টি আবেদন এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ১ ও ২, মহিষাদল, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে তুলনামূলক ভাবে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে সব থেকে বেশি আবেদন এসেছে সবং থেকে— ৫২,৯৯৪টি। আর শহরের মধ্যে সব থেকে বেশি আবেদন মেদিনীপুর থেকে— ২,৫০২টি। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল মানছেন, ‘‘অনেক আবেদন এসেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
আগেই একদফায় আমপানের ক্ষতিপূরণের আবেদন করা গিয়েছে। অনেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। তার পরেই ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগে তোলপাড় হয় রাজ্য। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই দুই জেলাতেও ক্ষতিগ্রস্তদের সংশোধিত তালিকা তৈরি হয়। তালিকা যাচাইয়ে টাস্ক ফোর্স গড়া হয়। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ১০ হাজার জন ও পূর্ব মেদিনীপুরে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার জন বাড়ির ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। পূর্বে ৮৫,৪৮৭ জন সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ২০ হাজার টাকা এবং ১,৭৯,৭৯২জন বাড়ির আংশিক ক্ষতির জন্য ৫ হাজার টাকা করে পেয়েছেন।