পাহাড়ের রানি সে। ভ্রমণরসিক আম-বাঙালির প্রেমিকা সে। অথচ এমনই দুঃসময় যে, খাস কলকাতায় পর্যটন প্রসারের মেলায় পশ্চিমবঙ্গের স্টলে কদর খুইয়েছে দার্জিলিং!
দিঘার সমুদ্রতট, শান্তিনিকেতনের বাউল, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ। বাদ নেই বিষ্ণুপুরের রাসমঞ্চ, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরও। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে টিটিএফ বা ভ্রমণ ও পর্যটন মেলার ব্যাকলিট বোর্ডে তাদের আকর্ষক ছবি জ্বলজ্বল করছে রাজ্যের পর্যটন দফতরের স্টলে। কিন্তু রাজ্যের এক নম্বর পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিং কোথায়?
প্রায় ১৩০০ বর্গ ফুট জুড়ে তৈরি রাজ্যের স্টলে আটটি ব্যাকলিট বোর্ড। দার্জিলিং নেই একটিতেও। যিনি স্টল নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বলছেন, ‘‘আমাকে নির্দিষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছিল, কোনও ব্যাকলিট বোর্ডেই দার্জিলিং যেন না-থাকে।’’
পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের কাউন্টারে বসে ছিলেন কালিম্পংয়ের সরকারি ট্যুরিস্ট লজ মরগ্যান হাউসের কর্মী চুঙ্কু লামা। ওই তরুণীর কথায়, ‘‘পুজোর মরসুমে নতুন বুকিং হচ্ছে না। আগে যাঁদের বুকিং ছিল, তাঁরাও একে একে তা বাতিল করছেন।’’ একই কথা বলছেন অভিরূপ সেন, অনুপ বাগ, অরিজিৎ সেনের মতো বেসরকারি ট্যুর অপারেটর সংস্থার প্রতিনিধিরা। পর্যটন দফতরের এক শীর্ষ কর্তা স্বীকার করছেন, দার্জিলিঙের পর্যটনে যে-ধাক্কা এল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেও তা কাটিয়ে উঠতে বছর দুয়েক লাগবে।
মেলার উদ্বোধক, পর্যটনসচিব মণীশ জৈন অবশ্য শুক্রবার বলেন, ‘‘দার্জিলিঙের সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে বলে আশা করছি।’’ পর্যটন দফতরের অনেক কর্তাই অবশ্য এতটা আশাবাদী নন। মেলার উদ্যোক্তাদের তরফে সঞ্জীব অগ্রবালও মনে করেন, দার্জিলিং নিয়ে আপাতত পর্যটনের আশা না-করাই ভাল। তবে তাঁর কথায়, ‘‘শাপে বর হতে পারে। পাহাড়-সঙ্কটের জেরে রাজ্যের অন্যত্র পর্যটন প্রসারের এবং পরিকাঠামো তৈরির সুযোগ মিললেই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy