তৃণমূল সরকারের প্রথম ৫ বছরে বহু ফাইল চালাচালি করেও শিলিগুড়ির কাওয়াখালি উপনগরী প্রকল্পে অনিচ্ছুক জমিদাতাদের জমি ফেরাতে পারেনি শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসজেডিএ)। এসজেডিএ-র পাঠানো ফাইল নগরোন্নয়ন দফতরে গিয়ে থমকেছে। এ বার সিঙ্গুর-মামলার রায়ের পরে নবান্ন সিঙ্গুরের জমি ফেরাতে নামতেই সরব হয়েছে কাওয়াখালি। তাতেই নড়ে বসলেন উত্তরবঙ্গের নেতা-মন্ত্রীরা।
শনিবার উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক কাজ দেখভালের জন্য তৈরি সমন্বয় কমিটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কাওয়াখালির জমি যাতে দ্রুত ফেরানো যা, সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে। বৈঠকের পরে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেও কাওয়াখালির জমি দ্রুত ফেরত দিতে চান। তবে আইনি জটিলতা ছিল। সিঙ্গুর মামলার রায়ের পরে আর কোনও জট নেই।’’ এ দিন কাওয়াখালির অনিচ্ছুক জমিদাতারাও উত্তরকন্যায় এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন পর্যটনমন্ত্রী ও শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। তার পরে সরকারি ভাবে জানানো হয়, এসজেডিএ দ্রুত বোর্ড মিটিং করে অনিচ্ছুকদের জমি ফেরতের সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি নিয়ে মন্ত্রী ও চেয়ারম্যান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে হবে জমির হাতবদল। ২০০৪ সালে উপনগরী তৈরির জন্য কাওয়াখালিতে প্রায় ৩০২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমিদাতা ১৭০০ জন। সে সময়ের বিরোধী দল তৃণমূল অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। ক্ষতিপূরণ না নিয়ে আন্দোলন চালান ৫২ জন। তাঁদেরই সাড়ে ১১ একর জমি ফেরাবে এসজেডিএ। এসজেডিএ চেয়ারম্যান সৌরভবাবু বলেন, ‘‘সংস্থায় সিদ্ধান্ত নিয়ে গৌতমবাবু ও আমি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন আনতে কলকাতায় যাব।’’ আন্দোলনকারীদের নেতা মনি বিশ্বাসের কথায়, ‘‘সরকারের উপর আস্থা রয়েছে। সমস্যা হলে আলোচনায় মিটবে।’’ অনিচ্ছুকদের সাড়ে ১১ একর জমির কিছুটা কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে বরাদ্দ হয়েছে। দুটি সংস্থা কাজ শুরু করেছে। সৌরভের দাবি, ওই সংস্থা ও অনিচ্ছুক জমিদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy