E-Paper

দুর্যোগ সামলাতে ব্যবস্থার দাবি নিউ টাউনে

ভারী বৃষ্টি হলে বিভিন্ন ভাবে একাধিক সরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে থাকা হলদিরাম ও চিনার পার্ক এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৫ ০৮:৪৪
ভারী বৃষ্টিতে চিনার পার্কের পাশাপাশি ভিআইপি রোডও জলমগ্ন হয়।

ভারী বৃষ্টিতে চিনার পার্কের পাশাপাশি ভিআইপি রোডও জলমগ্ন হয়। —প্রতীকী চিত্র।

দিনকয়েক একটু ভারী বৃষ্টি হতেই ডুবেছিল হলদিরাম-চিনার পার্ক এলাকা। আবারও দেখা দিয়েছে দুর্যোগের ভ্রুকুটি। ফলে, ভারী বৃষ্টি হলে বিভিন্ন ভাবে একাধিক সরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে থাকা হলদিরাম ও চিনার পার্ক এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যদিও সংলগ্ন বিধাননগর পুরসভা কিংবা ‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ) জল নামানোর সব ধরনের বন্দোবস্তই রাখছে বলে দাবি করেছে। কারণ, ওই এলাকাতেই রয়েছে বিমানবন্দর যাওয়ার রাস্তা। ই এম বাইপাস হোক কিংবা ভিআইপি রোড, প্রতিদিন ওই দুই রাস্তা ধরে বিপুল সংখ্যক গাড়ি বিমানবন্দরে যায়। কিন্তু ভারী বৃষ্টিতে চিনার পার্কের পাশাপাশি ভিআইপি রোডও জলমগ্ন হয়। তেমন পরিস্থিতিতে বহু ক্ষেত্রে বিমানও ধরতে পারেন না যাত্রীরা।

বিশ্ব বাংলা সরণি নিউ টাউন থেকে বেরিয়ে চিনার পার্ক পেরিয়ে হলদিরামের কাছে শেষ হচ্ছে। এনকেডিএ-র দাবি, সেই কারণে তারা প্রতি বারের মতো এ বারেও ওই রাস্তায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জল নামানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রেখেছে। তবে তারা জানিয়েছে, ওই রাস্তা বাদে সামগ্রিক এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার দায়িত্ব বিধাননগর পুরসভারই।

এনকেডিএ জানাচ্ছে, এক সপ্তাহ আগেও বিশ্ব বাংলা সরণির শেষ ভাগের নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কারের কাজ তারা করেছে। একই সঙ্গে দুর্যোগের আবহাওয়ায় নিউ টাউনের সামগ্রিক নিকাশি ব্যবস্থাকে সচল রাখতে ছ’টি পাম্প, দু’টি জেট-সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে তারা তৈরি থাকছে। অবশ্য বিধাননগর পুরসভা জানিয়েছে, তাদের এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাম্প বসানোই রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সব ধরনের পদক্ষেপ করা হবে।

উল্লেখ্য, বুধবার থেকে সাত দিনের বিশেষ সাফাই অভিযান চালু হয়েছে নিউ টাউনে। যেখানে আবর্জনার ছবি তুলে হেল্পলাইন নম্বরে পাঠালে দ্রুত তা সাফাই করে দেওয়া হচ্ছে। বর্ষা চলে আসার মুখে এই প্রকল্প ফলপ্রসূ হবে বলেই জানিয়েছে এনকেডিএ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় গালিপিট, নর্দমা-সহ অল্পেই জল জমে, এমন এলাকাগুলিতে সাফাই অভিযানের কথাও জানিয়েছে এনকেডিএ। তাদের দাবি, আবাসিক এলাকায় বৃষ্টির জলের প্রবাহ বাধা পাবে না।

এর পাশাপাশি, খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম। তাদের দাবি, জল বেশি জমলে কিংবা গাছ পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজের উপরে নজরদারি–সহ বিভিন্ন ভাবে এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে, যাতে যে কোনও সমস্যায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

নিউ টাউনের পাশাপাশি পাঁচ নম্বর সেক্টরেও জলবন্দি পরিস্থিতির মোকাবিলায় ১৬টি পাম্প বসানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া অতি ভারী বৃষ্টিতে নির্ধারিত সময় অন্তর গালিপিট পরিষ্কারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। থাকছে অন্য ব্যবস্থাও।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Heavy Rain control room

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy