প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুম শেষ হতেই হেমন্তের ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে আবহাওয়া। বঙ্গোপসাগর থেকে হাজির হওয়া গভীর নিম্নচাপের মতিগতি দেখে এমন পূর্বাভাসই দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উপগ্রহ-চিত্র বিশ্লেষণ করে হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শনিবার সকালেই গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশে চলে গিয়েছে। ক্রমশ সে বাংলাদেশ লাগোয়া উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে সরে যাচ্ছে। তার ফলে আজ, রবিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার কথা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, সকালে মুর্শিদাবাদ-লাগোয়া বাংলাদেশের উপরে ছিল গভীর নিম্নচাপটি। ফলে এ দিন দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা ছিল। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং বাংলাদেশ-লাগোয়া উত্তরবঙ্গে জোরালো বৃষ্টি মিলেছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি নেমেছে। টানা বৃষ্টি এবং আকাশ মেঘলা থাকার ফলে এ দিনের তাপমাত্রাও অনেকটা নেমে গিয়েছে।
হাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞানী জানান, গভীর নিম্নচাপটি ক্রমাগত বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে উত্তর-পূর্বে সরার ফলে ক্রমশ দুর্বল হতে শুরু করবে। কারণ, সাগর থেকে জলীয় বাষ্পের জোগান সে পাবে না। এই শক্তি খোয়ানোর ফলে তার প্রভাবও কমবে। তার ফলেই আজ, রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার উন্নতি লক্ষ করা যেতে পারে।
গত ১৪ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ দানা বেঁধেছিল। সেটি ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে উপকূলের দিকে ছুটে আসে। প্রাথমিক ভাবে মৌসম ভবনের ধারণা ছিল, সেটি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশা উপকূল দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকবে এবং সে দিকেই বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে গভীর নিম্নচাপটি ওডিশার চাঁদবালি দিয়ে স্থলভূমিতে ঢোকে এবং পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছয়। এই খামখেয়ালিপনার জন্যই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ বছর উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বন্যা হয়েছে। ফলে পুজোর মরসুমে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় তটস্থ ছিল প্রশাসনও। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির কিছু এলাকায় অতিবৃষ্টিতে জল জমেছে। কিছু নদীর জলস্তরও বেড়েছে। কিন্তু রাত পর্যন্ত কোনও বড় ধরনের বিপদের খবর মেলেনি। সেচ দফতর সূত্রের খবর, নিম্নচাপটি বাংলাদেশে চলে যাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গে বিপদের আশঙ্কা কমেছে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হলেও তেমন বিপদ হবে না বলেই আশা করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy