অধীরকে ঘিরে খুদেরা। নওদায়। ছবি: সঞ্জীব প্রামাণিক
তীব্র গরমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা অনেকেই কাবু হয়ে পড়েছেন। তিনি অবশ্য গরম-টরম মানছেন না। গরম উপেক্ষা করেই পরপর দু’দিন কান্দি এবং নওদায় উপনির্বাচনের জোর প্রচার করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।
নওদায় উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী সুনীল মণ্ডলের সমর্থনে রবিবার সেখানে প্রচারে গিয়েছিলেন অধীর। নওদার চাঁদাবাদ গ্রামে কংগ্রেসের একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কয়েকশো গ্রামবাসী এবং দলীয় সমর্থক সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বক্তৃতায় অধীর দাবি করেন, ‘‘ভারতে যত উন্নয়ন হয়েছে সবই কংগ্রেসের আমলে। কংগ্রেস গ্রামের মানুষের জন্য ১০০ দিনের কাজের ব্যবস্থা করেছে।’’
এরপরই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘এই জেলায় আগামী দিনে তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না। লোকসভা নির্বাচনেও জেলার তিনটি আসনই কংগ্রেস পাবে।’’ নাম না করে নওদার প্রাক্তন বিধায়ক তথা কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যাওয়া আবু তাহেরকে একহাত নেন অধীর। নওদায় উপনির্বাচনের জন্য তাঁর দল তৃণমূলকেই দায়ী করেন তিনি। টানা দু’মাস স্কুলে ছুটি ঘোষণা নিয়েও রাজ্য সরকারে সমালোচনা করেছেন অধীর। তাঁর দাবি, ‘‘এর ফলে শিক্ষাব্যবস্থা শুধু ধ্বংস হবে তা-ই নয়, এর সঙ্গে বড় দুর্নীতিও যুক্ত। ভোট মিটে গেলে সব জানা যাবে।’’
শনিবার কান্দিতে প্রচারে গিয়েছিলেন অধীর। কান্দির বিশ্রামতলায় এক পথসভায় রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রের মোদী-সরকারকে তুলোধোনা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজ্য এবং কেন্দ্রের শাসকদল একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়িতে নেমেছে। এর ফলে রাজ্য তথা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার-পথে একদল বিজেপি সমর্থক ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ার পর এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে ওই স্লোগান দেওয়া নিয়ে রাজ্যে কয়েকটি মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে অধীরের মন্তব্য, ‘‘আমরা এ কোন রাজ্যে বাস করছি!’’
কান্দির পথসভায় বক্তৃতায় বেকার সমস্যা দূর করতে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ব্যর্থতা’র কথাও তুলে ধরেছেন বহরমপুরের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ। অধীর বলেন, ‘‘রাজ্য ও কেন্দ্র দু’জনেই ব্যর্থ রাজ্য ও দেশের বেকার সমস্যা দূর করতে। কিন্তু এ নিয়ে তারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘১০০ দিনের কাজের প্রকল্প, খাদ্য সুরক্ষা যোজনা, গ্রামীন বিদ্যুদয়ণ থেকে স্বাস্থ্যবিমা— সবই কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন হয়েছে। কিন্তু ওরা সে কথা স্বীকার করে না।”রাজ্য সরকার কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পাল্টে কৃতিত্ব নিচ্ছে বলেও অভিযোগ অধীরের। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প আমাদের রাজ্যে হয়েছে খাদ্যসাথী। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে হয়েছে বাংলা আবাস যোজনা। এরকম অনেক কিছুর নাম পাল্টে নিজেদের বলে দাবি করছে রাজ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy