Advertisement
E-Paper

জমি-বিবাদে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

জমি নিয়ে বিবাদের জেরে বুধবার বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে দলের আহত কর্মী সমর্থকদের দেখতে গেলেন বিজেপির রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

বসিরহাট জেলা হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করলেন শমীকবাবু (বাঁ দিকে)।—নিজস্ব চিত্র।

বসিরহাট জেলা হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করলেন শমীকবাবু (বাঁ দিকে)।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৪ ০১:১৮
Share
Save

জমি নিয়ে বিবাদের জেরে বুধবার বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে দলের আহত কর্মী সমর্থকদের দেখতে গেলেন বিজেপির রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে প্রায় পাঁচ বিঘা জমির দখলকে কেন্দ্র করে যোগেশগঞ্জের বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল ও কৃষ্ণেন্দু সর্দারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। অভিযোগ, বুধবার বিকেলে লোকজন নিয়ে ওই জমি দখল করতে আসেন কৃষ্ণেন্দু সর্দার। বিবেকানন্দবাবু তাতে বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। ভাঙচুর, লুঠপাট চলে। লাঠির ঘায়ে কয়েক জনের মাথা ফাটে। চার মহিলা-সহ সাত জন আহত হন। বিবেকানন্দবাবু-সহ চার জনকে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল ও তিন জনকে যোগেশচন্দ্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। প্রদীপবাবু বিজেপির সমর্থক। এই ঘটনার পরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, তাঁদের দলকে সমর্থন করায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রদীপবাবুর বাড়িতে চড়াও হয়েছে। হেমনগর উপকুলবর্তী থানায় কৃষ্ণেন্দু সর্দার-সহ মোট দশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।’’ যদিও তা অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, পুরো বিষয়টি জমির মালিক ও ভাগচাষিদের মধ্যে বিবাদের জের। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। হিঙ্গলগঞ্জের ব্লক তৃণমূল নেতা দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘কৃষ্ণেন্দু সর্দারেরা কয়েক বছর ধরে ওই জমিতে ভাগচাষির কাজ করছে। তাই ফসল কিংবা জমির একাংশ তারা দাবি করতেই পারে। এই নিয়েই দুই পারিবারের মধ্যে গণ্ডগোল। বিজেপি আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষা না করে নিজেদের স্বার্থে একটি পারিবারিক ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।’’বৃহস্পতিবার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে আহত কর্মী-সমর্থকদের দেখতে এসে শমীকবাবু বলেন, ‘‘চল্লিশ বছর ধরে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করছেন মণ্ডল পরিবারের সদস্যেরা। এখন ব্লক তৃণমূল নেতার উস্কানিতে বলা হচ্ছে, ওই জমিতে তারা ভাগ চাষ করত। জমির দখল দিতে হবে। আসলে জমির দখল একটা বাহানা। মণ্ডল পরিবারের সদস্যেরা বিজেপি করায় ওরা জমি দখলের অছিলায় আমাদের দলের ছেলেদের মারধর, মহিলাদের সম্ভ্রমহানি করল।” তাঁর সংযোজন, ‘‘খুন, ধর্ষণ, সংঘর্ষের মত ঘটনা ঘটলেই তা পারিবারিক অশান্তির জেরে ঘটেছে বলে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতে আরও উত্‌সাহিত হয়ে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা একের পর এক অপরাধ মূলক কাজ করে গেলেও নির্বিকার পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী শুনলে হয়তো এই ঘটনাকেও পারিবারিক ঘটনা বলবেন।’’

পাশাপাশি সন্দেশখালির হালদার ঘেরিতে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আহতদের দেখতে আসা বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে রাজ্যের মুখ্য সচিব কথা দিয়েছিলেন, যারা হাসপাতালে চিকিত্‌সাধীন তাদের কাউকে ধরা হবে না। অথচ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতেই অসুস্থদের কয়েক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে পাঠাল। প্রকৃত অভিযুক্তেরা দিব্যি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে হুমকি দিচ্ছে।”

এ দিন হাসপাতালে শুয়ে বিবেকানন্দবাবু বলেন, “মাঠে কাজ করছিলাম। হটাত্‌ কৃষ্ণেন্দু সর্দারের নেতৃত্বে বেশ কিছু লোকজন এসে আমাদের উপর হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে মহিলাদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। গলার হার কেড়ে নেয় ওরা। জমির পাওয়ার টিলারটিও নিয়ে পালায়।”

অন্য এক আহত বাপ্পাদিত্য মণ্ডল বলেন, ‘‘আগে তৃণমূল করতাম। জমির কাগজপত্রও সব আছে। তৃণমূলের কার্যকলাপ পছন্দ না হওয়ায় লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে বিজেপি দলে যোগ দিই। তারপর থেকেই আমাদের উপর হামলা শুরু হয়েছে।” দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

land row attack on bjp supporters basirhat state new bengali news latest news online news latest online news

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}