Advertisement
১৯ মে ২০২৪

অধ্যক্ষকে বন্দি করে বিক্ষোভ টিএমসিপির

ভর্তি নিয়ে নির্দিষ্ট দাবিতে আরামবাগ গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ এবং কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রায় দু’ঘণ্টা ঘরবন্দি করে রেখে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। শনিবারের এই ঘটনায় ওই কলেজে ভর্তি-প্রক্রিয়া প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিপাকে পড়েন ভর্তি হতে আসা ছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকেরা। উচ্চ শিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। বেলা ২টো থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষই ফের ভর্তি-প্রক্রিয়া শুরু করেন। কলেজ সূত্রের দাবি, গোটা ভর্তি- প্রক্রিয়াটিই নিয়ন্ত্রণ করার দাবি তুলেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। কিন্তু অধ্যক্ষ তা না মানায় বিক্ষোভ হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৪ ০২:৩১
Share: Save:

ভর্তি নিয়ে নির্দিষ্ট দাবিতে আরামবাগ গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ এবং কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রায় দু’ঘণ্টা ঘরবন্দি করে রেখে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। শনিবারের এই ঘটনায় ওই কলেজে ভর্তি-প্রক্রিয়া প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিপাকে পড়েন ভর্তি হতে আসা ছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকেরা। উচ্চ শিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। বেলা ২টো থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষই ফের ভর্তি-প্রক্রিয়া শুরু করেন।

কলেজ সূত্রের দাবি, গোটা ভর্তি- প্রক্রিয়াটিই নিয়ন্ত্রণ করার দাবি তুলেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। কিন্তু অধ্যক্ষ তা না মানায় বিক্ষোভ হয়। টিএমসিপি অবশ্য সে কথা মানেনি। মন্তব্য করেননি অধ্যক্ষ সাজিদুল ইসলাম।

কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা আরামবাগের পুরপ্রধান তৃণমূলের স্বপন নন্দী বেলা ১টা নাগাদ কলেজে গিয়ে বিক্ষোভকারী এবং অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। স্বপনবাবু বলেন, “বিক্ষোভকারীদের বোঝানো হয়েছে। সরকারি নিয়মমতো কলেজ কর্তৃপক্ষই ভর্তি- প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবেন।” উচ্চ শিক্ষা দফতরের সচিব বিবেক কুমার জানান, ওই কলেজে ভর্তি নিয়ে গোলমালের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠিয়ে সমস্যার নিষ্পত্তি করা হয়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বছর অন-লাইনে ফর্ম বিলি হলেও এ বার লাইনে দাঁড়িয়ে কলেজের কাউন্টার থেকে ফর্ম নিচ্ছেন ছাত্রীরা এবং সেখানেই ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। কলেজের ছাত্রী সংসদ রয়েছে টিএমসিপি-র দখলে।

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১০টা নাগাদ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। বেলা ১১টা নাগাদ অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন টিএমসিপি-র সদস্যারা। তাঁদের সঙ্গে কিছু বহিরাগত যুবকও ছিল বলে অভিযোগ। অধ্যক্ষ অবশ্য ভর্তি-প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ মানতে চাননি। এর পরেই বিক্ষোভকারীরা সেই ঘর বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন। ভর্তি-প্রক্রিয়া এ দিন আর চালু হবে কি না, বুঝতে না পেরে বিপাকে পড়েন ছাত্রী এবং অভিভাবকেরা। স্বপনবাবু আসার পরে অধ্যক্ষের ঘর খোলা হলেও তখনও ভর্তি-প্রক্রিয়া চালু হয়নি। এর পরেই উচ্চ শিক্ষা দফতরে ফোন করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের দাবির কথা মানেননি ওই কলেজের ছাত্রী সংসদের সাধারণ সম্পাদক চুমকি দাস। তাঁর দাবি, “আমরা ফর্ম পূরণে সাহায্য করছিলাম, অধ্যক্ষ তা মানতে চাইছিলেন না। তাই ওঁকে ঘরে আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

আমরা ফর্ম তোলা বা ভর্তি-প্রক্রিয়া বন্ধ করিনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE