ধৃত দুই যুবক। —নিজস্ব চিত্র।
পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই এ দেশে ঢুকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি ভাবে আর্ন্তজাতিক ফোনের কারবার চালানোর অভিযোগে এক বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাকে আশ্রয় দেওয়া ও কারবারে সহযোগিতার অভিযোগে এ দেশের এক যুবককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি বাগদা থানার কুলিয়া সীমান্তের। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ ও বিএসএফ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের ধরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মৃণাল বিশ্বাস এবং রাজীব বসু। মৃণালের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল থানার বনগ্রাম এলাকায়। ধৃতদের বুধবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তের কাঁটাতার থেকে মাত্র আধ কিলোমিটার দূরে প্রায় র্নিজন জনবসতিহীন কুলিয়া এলাকায় একটি ঘর ভাড়া করে মৃণাল এক মাস আগে কারবার শুরু করে। ঘর থেকে ওই যুবককে বিশেষ বের হতে দেখা যেত না। নিজে রান্না করে খেত। ঘরে ফোন নিয়ে খুটখাট করতে দেখা যেত তাকে। ফোনেও কথা বলত। যা দেখে স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হয়। তাঁরাই খবর দেন পুলিশ ও বিএসএফকে।
কিন্তু কী ভাবে কারবার চালাত সে? জেরা করে পুলিশ জানিয়েছে, কুলিয়া সীমান্তের ওই এলাকায় বাংলাদেশি ফোনের টাওয়ার পাওয়া যায়। ব্রডব্যান্ডের মতো দেখতে দু’টি আলাদা-আলাদা মোডেম যার একটিতে এ দেশের সিম অন্যটিতে বাংলাদেশি সিম থাকে। রয়েছে কর্ডলেস রিসিভার। যার সঙ্গে মোডেম দু’টি যুক্ত করা যায়। বাংলাদেশের বুথ থেকে কেউ এ দেশে ফোন করলে মৃণালের কাছে থাকা ও দেশের সিমে ফোন করত। এ দেশে যার সঙ্গে কথা বলার দরকার, মৃণাল এ দেশের সিম কার্ড ব্যবহার করে তাকে ফোনে বাংলাদেশের সঙ্গে কনফারেন্সে কথা বলিয়ে দিত। ফলে লোকাল কলের খরচে কাজ মিটে যেত।
বনগাঁর সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি ফোনের টাওয়ার পাওয়া যায়। গরু থেকে শুরু করে সোনার বিস্কুট পাচার এ সব কাজে কারবারীরা ও দেশের সিম ব্যবহার করে। পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় ব্যবসায়ীদের একাশংও বাংলাদেশি সিম ব্যবহার করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy