Advertisement
E-Paper

উঠোনে বধূর দগ্ধ দেহ, খুনের অভিযোগ দায়ের

দাবিমতো পণ না মেলায় এক বধূকে শ্বশুরবাড়িতে পুড়িয়ে মারার অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে। শুক্রবার দুপুরে সুচিত্রা বৈদ্য (৩৪) নামে ওই বধূর দগ্ধ দেহ মেলে থানার মহেশপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ির উঠোনে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুচিত্রার বাবা সত্যরঞ্জন বৈদ্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৪ ০৩:০১

দাবিমতো পণ না মেলায় এক বধূকে শ্বশুরবাড়িতে পুড়িয়ে মারার অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে। শুক্রবার দুপুরে সুচিত্রা বৈদ্য (৩৪) নামে ওই বধূর দগ্ধ দেহ মেলে থানার মহেশপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ির উঠোনে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুচিত্রার বাবা সত্যরঞ্জন বৈদ্য। অভিযুক্তদের কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

পুলিশ জানায়, মৃতদেহটি যেখানে পড়েছিল, সেই জায়গায় মাটিতে পোড়া দাগ রয়েছে। দেহটি উদ্ধারের সময়ে কেরোসিনের তীব্র গন্ধ পাওয়া গিয়েছে। দেহের নানা জায়গা পুড়ে গিয়েছে। গলায় একটি গাঢ় কালো দাগও মিলেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, শ্বাসরোধ করে মহিলাকে খুনের পরে, দেহে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জেলার এক পুলিশ কর্তা জানান, ওই বধূর স্বামী উত্থান বৈদ্য-সহ তাঁর পরিবারের লোকজন পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আটেক আগে দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর থানার চকহারানপুরের কাঁটাতলার বাসিন্দা সুচিত্রার সঙ্গে মহেশপুরের রাজমিস্ত্রি উত্থানের বিয়ে হয়। দম্পতির বছর ছয়েকের ছেলেও রয়েছে। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে সত্যরঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে সুচিত্রার উপরে অত্যাচার চালানো হত। বেশ কয়েক বার উত্থানের চাহিদা অনুযায়ী পণও দেওয়া হয়। কিন্তু পণের দাবি থামেনি। সত্যরঞ্জনবাবু দাবি করেছেন, এ দিন সকালে উত্থানই তাঁকে ফোনে জানান, সুচিত্রা পুড়ে গিয়েছেন। কিন্তু মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে তিনি উত্থানদের কাউকে দেখতে পাননি।

ময়না-তদন্তের জন্য পুলিশ দেহটি উদ্ধার করতে আসার সময়ে গ্রামে রটে যায়, সুুচিত্রাকে গাছে বেঁধে মারধর করার পরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে গ্রামবাসীরা মুখ খুলতে চাননি। সুচিত্রার শ্বশুরবাড়ির পিছনে একটি নারকেল গাছে পোড়া দাগ পাওয়া গিয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই পোড়া দাগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, ওই গাছের পাশেই একটি উনুন রাখা রয়েছে। ওই উনুনের ধোঁয়া থেকেও গাছে পোড়া দাগ হতে পারে।

magrahat burnt body
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy