নাবালক ছেলেকে অপহরণ করে বিয়ে করেছেন প্রতিবেশী তরুণী— এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন কিশোরের বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অপহরণের অভিযোগে বছর কুড়ির এক তরুণীকে শনিবার বিকেলে গ্রেফতার করল কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নারায়ণপুর গ্রামের ঘটনা। রবিবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে তরুণীর ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ হয়েছে। নাবালক ওই কিশোরকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার স্থানীয় একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক দিয়েছে তারা দু’জনেই। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ মার্চ ওই কিশোরের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ১৫ তারিখ সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিল তাঁর ছেলে। তার পরে আর ফেরেনি। দিন দুয়েক বাদে প্রতিবেশী ওই তরুণীর বাবা তাঁকে জানান, ১৬ তারিখ ওই কিশোরের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছে। পাথরপ্রতিমার গোপালনগর গ্রামে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছে তারা। সেই আত্মীয়ের ঠিকানাও তাঁকে দিয়ে দেন তাঁরা।
ওই কিশোরের বাবার অভিযোগ, গোপালনগর গ্রামে ওই আত্মীয়ের বাড়িতে ছেলেকে নিতে গেলে তিনি দেখেন ওই তরুণীর সঙ্গে অনুষ্ঠান করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর ছেলের। ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে গেলে তাঁকে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই থানায় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ জানায়, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে গোপালনগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই তরুণীকে। কিশোরকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃত ওই তরুণী জানিয়েছে, ওই কিশোরের সম্মতিতেই বিয়ে করেছিল তারা। তবে ওই কিশোরের সঙ্গে এ দিন কোনও কথা বলা যায়নি।
এই ঘটনার পরে ওই কিশোরের বাবা বলেন, “আমার আরও দু’টো ছেলে রয়েছে। তারাও নীচু ক্লাসে পড়াশোনা করছে। আতঙ্কে তাদের স্কুলে পাঠাতে পারছি না।” তবে মেয়েটির পরিবারের দাবি, দু’জনের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছিল। মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ, সোমবার কাকদ্বীপ আদালতে বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেবে ওই কিশোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy