পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন উলুবেড়িয়ার বাঙ্গালপুরের মানুষ।
জায়গাটি উলুবেড়িয়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। কিন্তু বাঙ্গালপুর গ্রামের কিছু অংশ আবার বাণীবন পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। ফলে দায়িত্ব ভাগাভাগি নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই পরিষেবাঘটিত সমস্যায় পড়েন এখানকার মানুষ।
গরমে তাপমাত্রা যখন ৪১ ডিগ্রিও পেরিয়ে যাচ্ছে কখনও সখনও, তখন পানীয় জলের জন্য এই গ্রামের মানুষকে ছুটতে হয় প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে। প্রায় দেড়শো-দু’শো পরিবার যে নলকূপটি ব্যবহার করত, সেটি বছর তিনেক ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে। বাঙ্গালপুর গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর রহমান ও সাহাদত আলি খান বলেন, “জলের জন্য আমরা এই গরমে হাহাকার করছি। আশপাশের পুকুরেও জলস্তর নেমে এসেছে। কোনও রকমে স্নান আর রান্নার কাজ সারতে হয়। কিন্তু পানীয় জলের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে পুকুরের জল খেয়েই তৃষ্ণা মেটাতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।” গ্রামের বাসিন্দা আসগার আলি খান বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগে পুরসভা থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে বলে গেলেন, এখানে নলকূপ করা যাবে না। অন্য জায়গায় করতে হবে। আমরা পাড়ায় আলোচনা করে সেই জায়গাটা চিহ্নিত করেছিলাম। তারপর থেকে তাঁর আর দেখা নেই।”
এ বিষয়ে উলুবেড়িয়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উত্তম ধাড়া বলেন, “আমার ওয়ার্ডের মানুষদের কোনও রকম পানীয় জলের সমস্যা নেই। যে সব মানুষ অভিযোগ করছে, ওরা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। যে নলকূপটি খারাপ হয়ে গিয়েছিল, সেখানে আর নলকূপ করা সম্ভব নয় বলে তার কিছুটা দূরেই আমি নলকূপ করে দিয়েছি। সেখান থেকে মানুষ জল পাচ্ছেন।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “ওখানে আরও নলকূপের প্রয়োজন আছে ঠিকই। তবে সেটা পঞ্চায়েত করবে।”
তা হলে জলের কষ্টের হাত থেকে বাঁচতে কী উপায়? গ্রামের বাসিন্দাদের কয়েক জনের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ও পুরসভা দুই-ই যেখানে তৃণমূলের হাতে, তখন কেন সমন্বয় সাধন করে এই সমস্যা মেটানো যাবে না? কিন্তু সে কথা কারও কানে উঠলে তো! আপাতত গরমে পানীয় জলের জন্য জেরবার বাঙ্গালপুরের বহু মানুষ।
কী বলছেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ?
বাণীবন পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূলের পূজা হুজাইত অবশ্য আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিধায়কের তহবিল থেকে কলের বরাদ্দ মিলেছে। ভোটের জন্য কাজ হয়নি। ভোটপর্ব মিটলে কাজ হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy