Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ডিএনএ পরীক্ষায় তলব ধর্ষিতাদের, এলেন না কেউই

ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে গণধর্ষিতা দুই মহিলাকে মঙ্গলবার ডেকে পাঠাল আমতা থানা। যদিও হাজিরা দিলেন না নির্যাতিতারা। তাঁদের এক জনের স্বামী বলেন, “৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ দু’জন উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যাবতীয় পরীক্ষা হয়েছিল বলেই শুনেছি। অথচ, এত দিন পরে ফের পুলিশ কেন পরীক্ষার জন্য ডেকে পাঠাল, বুঝতে পারছি না।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৩৫
Share: Save:

ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে গণধর্ষিতা দুই মহিলাকে মঙ্গলবার ডেকে পাঠাল আমতা থানা। যদিও হাজিরা দিলেন না নির্যাতিতারা। তাঁদের এক জনের স্বামী বলেন, “৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ দু’জন উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যাবতীয় পরীক্ষা হয়েছিল বলেই শুনেছি। অথচ, এত দিন পরে ফের পুলিশ কেন পরীক্ষার জন্য ডেকে পাঠাল, বুঝতে পারছি না। আমাদের আইনজীবী পরামর্শ দিয়েছেন, আদালত নির্দেশ না দিলে আমরা যেন পুলিশের প্রস্তাবে রাজি না হই।”

৪ ফেব্রুয়ারি আমতার মুক্তিরচক গ্রামে সিপিএম পরিবারের এক মহিলা ও তাঁর জ্যাঠশাশুড়িকে বাড়িতে ঢুকে কয়েক জন গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই মামলার শুনানিতে দিন কয়েক আগে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত প্রশ্ন তোলেন, পুলিশ অভিযুক্তদের সকলকে এখনও কেন গ্রেফতার করতে পারল না?

হাইকোর্টের নির্দেশে নড়েচড়ে বসে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ। গ্রামে গিয়ে তারা কথা বলে পরিবারটির সঙ্গে। মঙ্গলবার আমতার সিআই শুভাশিস চক্রবর্তী ওই গৃহবধূর শাশুড়িকে চিঠি দিয়ে থানায় ডেকে পাঠান। তিনিই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগকারিণী। এ দিন মহিলা থানায় আসার পরে তাঁকে পুলিশ নিয়ে যায় উলুবেড়িয়া এসিজেএম আদালতে। সেখানে তিনি বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দেন। আমতার সিআই ওই মহিলাকে জানান, তিনি যেন তাঁর নির্যাতিতা পুত্রবধূ এবং বড় জাকেও এ দিন থানায় আনেন। ওই দুই মহিলার কিছু জরুরি ডাক্তারি পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

পুলিশ কর্তাদের একাংশের ব্যাখ্যা, ধর্ষণের অভিযোগে ধৃতদের ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজনেই ধর্ষিতাদের রক্ত পরীক্ষা করানোর দরকার ছিল। তদন্তের স্বার্থে এটা করা হয়। আপাতত তাঁদের না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেরও খবর, দুই নির্যাতিতার যাবতীয় শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। ধর্ষণে এত দিন পরে নমুনা সংগ্রহ করে লাভ হয় না। তবে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজনে অনেক সময় ঘটনার অনেক পরেও ধর্ষিতাদের রক্ত পরীক্ষা করাতে হয়। তদন্তে দেরি হওয়ায় বিপন্নতা কমছে না ওই পরিবারের। এ দিন নির্যাতিতা বধূর স্বামী বলেন, ‘‘আদালতের রায় জানার পরে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। কিন্তু গ্রামে ঢোকার আগেই মোবাইলে আমাদের ফের হুমকি দেওয়া হয়। তদন্তের নামে কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না।’’

কেমন আছেন নির্যাতিতা? তিনি বাংলায় স্নাতকোত্তর পাশ। কম্পিউটারে ডিপ্লোমা আছে। স্বামীর কথায়, ‘‘বাড়ি ফিরতে চান বার বার। কিন্তু পারছেন না। রাতে ঘুমোতে পারেন না। কেমন যেন হয়ে গিয়েছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rape amta dna test
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE