তৃণমূলে যোগ না দেওয়া সত্ত্বেও দলে যোগদানকারীদের তালিকায় তাঁদের নাম রাখা হয়েছে, এই অভিযোগে সোমবার কংগ্রেসের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি অর্ণব রায়ের রায়ের কাছে চিঠি দিলেন তালদি পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য গোবিন্দ সর্দার ও ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য দীপালি নস্কর।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ক্যানিংয়ের দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নন্দরানি সর্দার ও উপপ্রধান সিদ্ধেশ্বর নস্কর-সহ ৮৯ জন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। রবিবার তৃণমূল ভবন থেকে মুকুল রায় বিবৃতি দিয়ে জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইটখোলা, তালদি ও গোপালনগরে বেশ কিছু বিরোধী সদস্য তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের নামও পড়ে শোনান তিনি। সেখানে গোবিন্দ সর্দার ও দীপালি নস্করেরও নাম ছিল। এর পরেই সোমবার দু’জন অর্ণব রায়কে চিঠি দিয়ে জানান, তাঁদের নামে মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল। তারা কংগ্রেসেই আছেন। মুকুলবাবুর অবশ্য দাবি, “ওঁদের নাম তালিকায় ছিল না। পড়া হয়নি।”
গোবিন্দবাবু বলেন, “রবিবার সারাদিন বাড়িতেই ছিলাম। এ সবের কিছুই জানি না। গ্রামের কয়েকজন আমার কাছে জানতে চান, আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি কি না। বিষয়টি লিখিত ভাবে জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি।”
দীপালিদেবীরও বক্তব্য, “আমি তৃণমূলে যোগ দিইনি। তার পরেও আমার নাম এই বিষয়ে জড়িয়ে গেল কী করে, জানি না। মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। জেলা সভাপতিকে সব জানিয়েছি।” অর্ণববাবু বলেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তৃণমূল ভবন থেকে মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তালদি ও ইটখোলা অঞ্চল থেকে কংগ্রেস সদস্যেরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। আদৌ এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। ওঁরা আমাকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। বিষয়টি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও জানিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy