শুক্রবার অশোকনগরে প্রচারে অধীর চৌধুরী। ছবি: শান্তনু হালদার।
তৃণমূলের মদতে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
বারাসতের দলীয় প্রার্থী ঋজু ঘোষালের সমর্থনে শুক্রবার অশোকনগরের কচুয়া মোড়ে সভা করেন অধীর। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ তাঁর হেলিকপ্টার নামে পাশের হরিপুর মাঠে। সভায় সারদা-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের শাসক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নানা ভাবে বিঁধেছেন অধীর। এর পরেই তাঁর অভিযোগ, “সরকারি দলের মদতে এখানে প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দিয়ে তাঁর মতো করে ভোট করাতে চাইছেন।” দলীয় কর্মী-সমর্থকদের তাঁর পরামর্শ, “নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করুন। প্রতিলিপি আমাকে দিন। কত ধানে কত চাল, দেখব।”
তবে, নির্দিষ্ট ভাবে কোথায়, কী ভাবে তাঁদের প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অধীর। অবশ্য মঞ্চে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সুহাস ভট্টাচার্য অভিযোগ তোলেন, “এ দিন সভার জন্য টাঙানো দলীয় পতাকা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ধীমান রায়ের নেতৃত্বে খুলে দেওয়া হয়।” ধীমানবাবু অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উড়িয়ে দেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও।
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রচারে বাধা দানের কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই বক্তব্য জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনারও।
মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সভায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুললেও এ দিন তা নস্যাৎ করেছেন অধীর। কেন্দ্রের থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার জন্য তিনি তৃণমূলের সমালোচনাও করেন। অধীর বলেন, “দেশের বাকি রাজ্য যা পেয়েছে, আপনি তা পাননি যদি এ কথা প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে আমি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, রাজ্যের সব কেন্দ্র থেকে আমাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেব।” একই সঙ্গে তাঁর দাবি, “কেন্দ্রের থেকে রাজ্য যে সাহায্য পায়, সেটা দক্ষতার সঙ্গে খরচ করলেই রাজ্যের চেহারা পাল্টে যাবে। কিন্তু রাজ্য তা পারছে না। টাকা খরচের দক্ষতা নেই।” ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে মিজোরামের উদাহরণ তুলে বলেন, “মিজোরাম ওই প্রকল্পে ৮৮ দিন কাজ দিতে পেরেছে, বাংলা ৩৫ দিন। কেন্দ্র সরকার দেশের ১০০টি জেলাকে ‘পিছিয়ে পড়া জেলা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে এ রাজ্যে ১১টা। সেখানকার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র প্রচুর টাকা দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য খরচ করতে পারেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy