আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলছেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। ছবি: দিলীপ নস্কর।
পুলিশের উপরে বোমা মারার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বুধবার রাতে কুলপির গাজিপুর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কালাম পেয়াদা, গোলাম পেয়াদা, আসগর মোল্লা এবং মসিউর রহমান মোল্লা নামে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
বুধবার সকালে কংগ্রেস সমর্থক এক ব্যবসায়ীকে মারধর এবং তার পরে কংগ্রেস পরিচালিত গাজিপুর পঞ্চায়েতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত লক্ষ করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গাজিপুর বাজারে টহলরত পুলিশকে লক্ষ করেও বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে চার পুলিশকর্মী জখম হন। ওই পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য কুতুব মোল্লার দাবি, তাঁকে খুন করার জন্যই দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েতে আসে। তিনি কোনও মতে প্রাণে বাঁচলেও দুষ্কৃতীরা শ্রীকৃষ্ণনগর গ্রামে গিয়ে বেছে বেছে দলীয় কর্মীদের ৮-১০টি বাড়িতে বোমা মারে। বোমার আঘাতে ওই সব বাড়ির চাল ভাঙে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
দলের জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ সরকারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার গ্রামে যান জেলা কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও হুমকির অভিযোগ তোলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত্ ভৌমিক বলেন, “আমাদের সমর্থকদের উপরে তৃণমূলের হামলা রুখতে নির্বাচন কমিশনকে জানাব। পুলিশকে বলা হয়েছে ওই গ্রামে একটি ক্যাম্প করতে। তৃণমূলের সন্ত্রাসে প্রায় ২৫০টি পরিবার আতঙ্কে রয়েছে।”
ধৃতদের দলীয় সমর্থক হিসেবে মানতে চাননি কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। তিনি বলেন, “ওখানে কারা বোমাবজি করেছে জানি না। ওখানে আমাদের কর্মীরাই ভয়ে রয়েছে। কংগ্রেসই সন্ত্রাস চালাচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy