Advertisement
E-Paper

পাড়ার বিবাদে সপরিবার এলাকাছাড়া প্রৌঢ়

নিকাশি নালায় আবর্জনা ফেলা-সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে এক প্রৌঢ়কে মারধর করে সপরিবারে এলাকাছাড়া করার অভিযোগ উঠল কাকদ্বীপের রথতলাপাড়ার প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে। ১৮ দিন ধরে পবিত্র মণ্ডল নামে ওই প্রৌঢ় এবং তাঁর স্ত্রী ও চার ছেলেমেয়ের ঠিকানা কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল চত্বর। পবিত্রবাবু পুলিশ এবং মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৪ ০১:২৫
হাসপাতাল চত্বরেই আশ্রয়। ছবি: দিলীপ নস্কর।

হাসপাতাল চত্বরেই আশ্রয়। ছবি: দিলীপ নস্কর।

নিকাশি নালায় আবর্জনা ফেলা-সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে এক প্রৌঢ়কে মারধর করে সপরিবারে এলাকাছাড়া করার অভিযোগ উঠল কাকদ্বীপের রথতলাপাড়ার প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে। ১৮ দিন ধরে পবিত্র মণ্ডল নামে ওই প্রৌঢ় এবং তাঁর স্ত্রী ও চার ছেলেমেয়ের ঠিকানা কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল চত্বর। পবিত্রবাবু পুলিশ এবং মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে ওই এলাকার অনেকেরই দাবি, ছোটখাটো নানা বিষয়ে পবিত্রবাবু ঘন ঘন পুলিশ প্রশাসনের কাছে তাঁদের নামে অভিযোগ জানিয়ে হেনস্থা করছিলেন। তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সকলকে বুুঝিয়ে পরিবারটিকে যাতে গ্রামে ফেরানো যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অমিত নাথ জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পরিবারটিকে ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে রথতলা পাড়ায় একটি ঘর কিনে বসবাস শুরু করেন পবিত্রবাবুরা। বছর তিনেক আগে একটি নিকাশি-নালা নিয়ে পড়শি দেবব্রত জানার সঙ্গে পবিত্রবাবুর ঝামেলা হয়। পুলিশে অভিযোগ জানান পবিত্রবাবু। আদালত থেকে জামিন নিতে হয় দেবব্রতবাবুদের। মাসখানেক আগে এলাকার একটি গোলমালে তাঁর পড়শি, অন্তঃসত্ত্বা মামণি সাহার নামেও পুলিশে অভিযোগে জানান পবিত্রবাবু। মামণিদেবীর দাবি, মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসিয়ে হেনস্থা করেন পবিত্রবাবু। আদালতে কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে তাঁকে জামিন নিতে হয়। এমনই নানা অভিযোগ নিয়ে পড়শিদের বিরুদ্ধে থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন পবিত্রবাবু। গত ২১ মে ফের নিকাশি-নালায় আবর্জনা ফেলা নিয়ে দেবব্রতবাবুর সঙ্গে পবিত্রবাবুর ঝামেলা হয়। ফের পবিত্রবাবু থানার দ্বারস্থ হন। সে দিনই তাঁকে মারধর করে সপরিবারে পাড়াছাড়া করা হয় এবং বাড়ি ঢোকার পথ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পবিত্রবাবু বলেন, “দেবব্রত জানা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা ১৫-২০ জনকে নিয়ে আমাদের মারধর করে। এখন বাড়ি ফিরলে খুনের হুমকি দিচ্ছে। ছেলেমেয়ের পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।”

অভিযোগ উড়িয়ে দেবব্রতবাবু বলেন, “ওই পরিবারটির জন্য গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। পড়শিদের নানা ভাবে হেনস্থা করেন ওঁরা। কাউকে মারধর করা হয়নি। গ্রামবাসীরা ওদের খারাপ আচরণের প্রতিবাদ করেছেন।” একই বক্তব্য গ্রামের শ্যামল চিত্রকর, শঙ্কর দলুইদেরও।

kakdwip
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy