Advertisement
০৩ মে ২০২৪

বিজেপি কর্মীদের মার, হরিপালে অভিযুক্ত তৃণমূল

দলীয় সংগঠন নিয়ে বৈঠক চলাকালীন আচমকা ঘরে ঢুকে বিজেপি-র নেতা-কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটি মোটরবাইকও ভেঙে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হরিপালের বন্দিপুরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিপাল শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৪ ০২:০২
Share: Save:

দলীয় সংগঠন নিয়ে বৈঠক চলাকালীন আচমকা ঘরে ঢুকে বিজেপি-র নেতা-কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটি মোটরবাইকও ভেঙে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হরিপালের বন্দিপুরে। বুধবার দুপুরে বিজেপি-র তরফে জেলার পুলিশ সুপারের অফিসে ফ্যাক্স করে অভিযোগ জানানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্দিপুরের বামুনজোলে একটি বাড়িতে বিজেপি-র স্থানীয় নেতা এবং কর্মীরা বৈঠকে বসেছিলেন। দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানো নিয়ে সেখানে আলোচনা চলছিল। এ ছাড়াও, অন্য দল ছেড়ে কিছু লোকের যোগদান করা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল। অভিযোগ, রাত ৯টা নাগাদ জনা পঞ্চাশ তৃণমূল সমর্থক মোটর বাইক নিয়ে সেখানে পৌঁছয়। ওই ঘরে ঢুকে বিজেপি-র নেতা-কর্মীদের কিল, ঘুসি, লাথি মারা হয়। লাঠিপেটাও চলে। হঠাৎ আক্রমণে বিজেপি-র লোকেরা যে যে দিকে পারেন, ছুটে পালান। পরে তাঁদের ৮টি বাইক তৃণমূলের লোকেরা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। বিজেপি-র দাবি, ওই ঘটনায় তাদের অন্তত পাঁচ কর্মী জখম হন।

হামলাকারীরা চলে গেলে বিজেপি-র তরফে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। ছোট্টু পণ্ডিত নামে এক কর্মীকে কামারকুণ্ডুর একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। বুধবার তাঁকে চন্দননগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আরও দু’জনকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। জেলা বিজেপি সভাপতি স্বপন পাল বলেন, “বুধবার আমাদের কয়েক জন থানায় যাচ্ছিলেন এফআইআর করতে। কিন্তু তৃণমূলের বাইক বাহিনী থানার কাছেই জড়ো হয়েছিল। ফের হামলার ভয়ে আমাদের লোকেরা থানায় ঢোকার সাহস পাননি। ঘটনার বিবরণ লিখে এসপি-র কাছে ওই অভিযোগ ফ্যাক্স করে পাঠানো হয়েছে। এসপি-কে ফোন করেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।”

অভিযোগ উড়িয়ে হরিপালের তৃণমূল নেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ সমীরণ মিত্র বলেন, “সিপিএম থেকে কিছু লোক বিজেপি-তে ভিড়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। ওখানে ওরা আমাদের এক জনকে শাসাতে গিয়েছিল। গ্রামবাসীরা তার প্রতিরোধ করেছেন। সেই সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। আমাদের কয়েক জন তাতে আহত হয়েছেন। বিষয়টি লিখিত ভাবে আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।”

পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “বিজেপি-র তরফে কেউ থানায় আসেননি। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে নিশ্চয়ই তদন্ত করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

attack on bjp supporters haripal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE