Advertisement
E-Paper

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল ব্যারাকপুর, বারাসত

চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। শনিবার ফের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়ল ব্যারাকপুর ও বারাসতের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসার পরেও কেন বারবার এই বিভ্রাট, প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, কোথাও কোথাও আট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ ছিল না। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বক্তব্য, বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই। মেরামত করতেই লোডশেডিং করা হয়েছিল। তার মধ্যে দু’টি যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটায় পরিষেবা এতটা ব্যাহত হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৪ ০২:৩৯

চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। শনিবার ফের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়ল ব্যারাকপুর ও বারাসতের বিস্তীর্ণ এলাকা।

রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসার পরেও কেন বারবার এই বিভ্রাট, প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, কোথাও কোথাও আট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ ছিল না। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বক্তব্য, বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই। মেরামত করতেই লোডশেডিং করা হয়েছিল। তার মধ্যে দু’টি যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটায় পরিষেবা এতটা ব্যাহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঝড়বৃষ্টির পরে ব্যারাকপুর-সহ উত্তর ২৪ পরগনার বড় এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল। ব্যারাকপুর ও তার সংলগ্ন বহু এলাকায় ১৫ থেকে ২২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ-কর্তারা দাবি করেছিলেন, ঝড়বৃষ্টিতে বহু জায়গায় তার ছিঁড়েছে। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে সারাতে দেরি হয়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মানুষকে। শুক্রবার সন্ধ্যা ছ’টার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফের লোডশেডিং শুরু হয়। তার ওপর গরমে নাজেহাল হন মানুষ। মাঝে দু’-একটি পাড়ায় কয়েক মিনিট বিদ্যুৎ এলেও ভোল্টেজ বেশি ছিল না। বিকেলের পর ব্যারাকপুর ও বারাসতের বহু এলাকাই নিষ্প্রদীপ হয়ে যায়।

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার জোনাল ম্যানেজার রূপঙ্কর সোম জানান, শুক্রবার সারা দিন কাজ করেও বৃহস্পতিবারের ক্ষতি পুরো মেরামত করা যায়নি। তাই এ দিন সকাল থেকেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যারাকপুর ও বারাসতের একাধিক জায়গায় কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছিল। মেরামতের জন্যই বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। দুপুরে টিটাগড়ে ১৩২ কিলোভোল্টের সাব স্টেশনে যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে শিল্পাঞ্চলের কিছু এলাকায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়।

বণ্টন সংস্থার সূত্রের খবর, বিকেলের মধ্যে মেরামতি প্রায় শেষ করে এনেছিলেন কর্মীরা। তখন বাজ পড়ে নীলগঞ্জের ৩৩ কিলোভোল্টের ফিডারে। দু’টি ইনস্যুলেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুরো এলাকাই নিষ্প্রদীপ হয়ে যায়। তা মেরামতির পর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হয় বলে বণ্টন সংস্থার দাবি।

তার পরেও দফায় দফায় লোডশেডিং হয়। রাত দশটা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ব্যরাকপুর, আগরপাড়া, নিমতা, নিউবারাকপুর, বিরাটি সহ বিস্তীর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকে।

power cuts grinding barrackpore, barasat power cuts barrackpore load shedding
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy