দীর্ঘ আট বছর ধরে সেতুর ভাঙা অংশের কোনওরকম মেরামত হয়নি। উপরন্তু, সংস্কারের অভাবে দিনের পর দিন ভাঙার পরিধি বেড়েছে। তবু টনক নড়েনি প্রশাসনের। ফলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিত্য ক্ষোভ জানিয়ে প্রাণ হাতে করেই যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। হাওড়া জগৎবল্লভপুরের সিদ্ধেশ্বর-একাব্বপুর গ্রামের সংযোগকারী সেতুর বর্তমানে এমনই অবস্থা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁকরাইল-মুন্সিরহাট রোডে রাজাপুর ক্যানালের উপর এই সেতুটি ১৯৭৬ সালে তৈরি করেছিল সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছিল। নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত ওই সেতু সংস্কারে কোনও উদ্যোগ চেখে পড়েনি বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। কংক্রিটের সেতুটি লম্বায় ১৫০ ফুট এবং চওড়ায় ২০ ফুট। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর পশ্চিম দিকের রেলিংয়ের প্রায় ৫০ ফুট অংশ ভেঙে ঝুলে রয়েছে। ওই অবস্থাতেই লরি, বাস, ট্রেকার, ট্যাক্সি, মোটর সাইকেল, সাইকেল রিকশা, মোটরভ্যান ইত্যাদি যানবাহন যাতায়াত করছে। এ ছাড়া সিদ্ধেশ্বর শংকর পাঠশালা হাইস্কুল, একাব্বরপুর গোবিন্দ পাঁজা হাইস্কুল-সহ একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ওই সেতু দিয়েই বিপজ্জনক ভাবে নিত্য যাতায়াত করতে হয়। তার উপর কোনও আলো না থাকায় রাতের বেলায় চলাচল আরও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়।
একাব্বরপুরের বাসিন্দা সুব্রত দেঁড়িয়া বলেন, “প্রায় আট বছর ধরে সেতুর রেলিং ভাঙা অবস্থায় পড়ে। ফলে ফটিকগাছি, নস্করপুর, সিদ্ধেশ্বর, একাব্বরপুর প্রভৃতি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ছাড়াও প্রচুর ছাত্রছাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিত্য ওই সেতু পারাপার করে। তার উপর ভাঙা সেতু দিয়ে যে ভাবে দ্রুতবেগে অটো-ট্রেকার চলাচল করে তাতে যে কোনও দিন বড় রকমের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অথচ সেতু সারাতে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগই নেই। সেতু মেরামতের প্রসঙ্গে সিদ্ধেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিখিল কুমার চক্রবর্তী বলেন, সেতুর রেলিং পাঁচ বছরের ওপর ভেঙে রয়েছে। মেরামতের ব্যাপারে জেলাশাসক, সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে জানানো হয়েছে। যদিও কাজ এখনও শুরু হয়নি।” সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন দত্ত বলেন, সেতুটির ভাঙা অংশ মেরামতির জন্য চিন্তা-ভাবনা চলছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।”