বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে কলকাতা হাই কোর্টের এক বিচারপতির স্ত্রীকে সাইকেল নিয়ে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক প্রতিবন্ধী যুবকের বিরুদ্ধে। এর জন্য তাঁর জেলও হয়! আড়াই মাস জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন নদিয়ার সেই যুবক উজ্জ্বল হাজরা।
উচ্চ আদালতের বিচারপতির স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পলাশিপাড়ার চকবিহারীর বাসিন্দা উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। তেহট্টের আদালত তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বলে জানিয়েছেন উজ্জ্বলের আইনজীবী অনিকেত জোয়ারদার। তিনি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র বিচারপতির স্ত্রী বলে পুলিশ অতিসক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এক জন প্রতিবন্ধী যুবক ট্রাই সাইকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ অন্যায় ভাবে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করেছিল।’’
পরিবার সূত্রে খবর, উজ্জ্বল ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। চলাফেরার জন্য তাঁর ভরসা ট্রাই সাইকেল। তাঁর মা এবং ঠাকুমা পরিচারিকার কাজ করেন। গত ৬ জুন এক বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন উজ্জ্বল। সেখানে তাঁকে জোর করে মদ খাওয়ানো হয়েছিল। এর পর সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথেই ঘটনা ঘটে।
তেহট্টের জিতপুর মোড় এলাকায় একটি এটিএম কাউন্টারে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন বিচারপতির স্ত্রী। সেই সময় পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা দেন উজ্জ্বল। তার জেরে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন বিচারপতি স্ত্রীর। তাঁর পায়ে চোটও লাগে। ওই ঘটনার পরেই বিচারপতির স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে যুবকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু হয়। গ্রেফতার হন উজ্জ্বল। তাঁর ট্রাই সাইকেলটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। উজ্জ্বলের জেলমুক্তি হল ৭৫ দিন পর।