দূরত্ব ঘুচিয়ে পরস্পরের হাত ধরতে চাইছেন ওঁরা।
পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে অবিশ্বাস যে-ভাবে গেড়ে বসেছে, তার অবসান ঘটিয়ে ওঁরা বুঝতে চাইছেন একে-অন্যের সমস্যা, প্রত্যাশা এবং সীমাবদ্ধতা। চিকিৎসার সুস্থ ও মানবিক পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন চিকিৎসক ও রোগীর পারস্পরিক বিশ্বাস আর আস্থা-ভরসার বাতাবরণ।
চার দিকে যখন চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এবং তার জেরে চিকিৎসক-নিগ্রহ, রোগী ও তাঁর পরিজনদের অসহায়তা, ঠিক তখনই নজিরবিহীন ভাবে এ রাজ্যে একটি সংগঠন তৈরি করে একজোট হয়েছেন চিকিৎসক ও রোগীদের একটা বড় অংশ। সংগঠনের নামটিও তাৎপর্যপূর্ণ ‘ডক্টর্স ফর পেশেন্টস’। ওই সংগঠনের দাবি, এক মাসের মধ্যেই রাজ্যের প্রায় দেড় হাজার চিকিৎসক এবং ২৬০ জন রোগী তাদের সদস্যপদ নিয়েছেন। পথসভা, মিছিলও শুরু করেছে সংগঠনটি। তারা পাশে পেয়ে গিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ-র রাজ্য শাখাকেও।
সংগঠনে রয়েছেন কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, শারদ্বত মুখোপাধ্যায়, মধুচ্ছন্দা কর, কৌশিক লাহিড়ী, সৈকত গুপ্তের মতো বহু চিকিৎসক। ‘‘রোগী না-থাকলে চিকিৎসক অস্তিত্বহীন আর চিকিৎসক না-থাকলে রোগী অসহায়। অথচ দু’পক্ষেরই কিছু ভুলত্রুটিতে পরস্পরের মধ্যে অবিশ্বাস তুঙ্গে। এ ভাবে চিকিৎসা হয় না,’’ বলছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। সংগঠনের প্রতিনিধিরা মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার কাছে গিয়ে রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কের বিষয়টিকে এমবিবিএস পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দরবারও করে এসেছেন। সংগঠনের রোগী-সদস্যেরা বুঝেছেন, বদল আনা দরকার রোগীদের মানসিকতাতেও। তাই তাঁরা এখন প্রচারে গিয়ে বলছেন, ‘ভরসা থাকুক চিকিৎসকে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy