বিরোধী দল ভাঙিয়ে এক দিকে তৃণমূলের পতাকা ধরানোর ঢল নেমেছে। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়েই শাসক দলের অন্দরে যে অস্বস্তিও তৈরি হচ্ছে, তার ইঙ্গিত মিলল বুধবার। যখন সিপিএম থেকে আসা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার নাম করে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন কটাক্ষ করলেন, এমন সব মুখকে হজম করতে সময় লাগবে!
মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ‘অল বেঙ্গল সিকিউরিটি অ্যান্ড অ্যালায়েড ওয়ার্কমেনস্ ইউনিয়ন’-এর সাংগঠনিক বৈঠকে এ দিন উপস্থিত ছিলেন দোলাদেবী। সেখানেই দোলা কটাক্ষের সঙ্গে বলেন, ‘‘এখন রেজ্জাক মোল্লাও আমাদের মন্ত্রী! আপনাদের বেশির ভাগ সব সিপিএম ছিলেন! এখন তৃণমূল হতে চেষ্টা করছেন। আপনাদের সবাইকে এখন আস্তে আস্তে আমরা হজম করছি!”
হঠাৎ রেজ্জাকের নাম কেন টানতে গেলেন দোলাদেবী? তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, সংগঠনের ওই বৈঠকে কিছু সদস্যের কার্যকলাপে চটে গিয়েই এমন কটাক্ষ করেছেন সাংসদ। আলাদা করে রেজ্জাককে নিশানা করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। ‘ঘরোয়া বৈঠক’ হওয়া সত্ত্বেও ওই সংগঠনের জনাকয়েক সদস্য তাঁর বক্তৃতা মোবাইলে রেকর্ড করছেন দেখেই ক্ষিপ্ত হন রাজ্যসভার সাংসদ। এই প্রসঙ্গেই মনে করিয়ে দেন, কোনও ভাবে সিপিএমের ফেলে যাওয়া জুতোয় পা গলানো চলবে না। ভোটের আগে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন রেজ্জাক। বাম আমলেও তিনি মন্ত্রী ছিলেন। নতুন দলে এসে ভোটে জিতে রেজ্জাক এখন তৃণমূল সরকারের উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী। ঘটনা হল, রেজ্জাকের এই দলবদল নিয়ে দোলাদেবী কটাক্ষ করলেও তৃণমূল নেতৃত্ব কিন্তু সিপিএম বা কংগ্রেস, কোনও বিরোধী দল থেকেই লোক নেওয়া বন্ধ করেননি। এমনকী, শাসক দলের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দোলাদেবী নিজেও নকশাল রাজনীতি থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন। পূর্ণেন্দু বসু তৃণমূলে এসে মমতার ক্ষমতায় আসার সময় থেকেই রাজ্যের মন্ত্রী। তাই শুধু রেজ্জাককে নিশানা করে কী লাভ, প্রশ্ন আছে দলের মধ্যেই!
আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভানেত্রীর মন্তব্য নিয়ে রেজ্জাকের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই ব্যাপারে হইচই শুরু হওয়ার পর থেকেই দু’টি মোবাইল বন্ধ করে দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy