প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের জন্য বিজেপি-র দরজা খোলা বলে জানিয়ে দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভারতী যে বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তেমন ইঙ্গিতও দিলেন দিলীপবাবু। তিনি সোমবার বলেন, ‘‘আমাদের কোনও কোনও নেতার সঙ্গে ভারতীদেবীর কথা হয়ে থাকতে পারে। তিনি আমাদের দলে আসতে চাইলে আমাদের দরজা খোলা থাকবে।’’ দিলীপবাবুর এই আহ্বানকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল এবং সিপিএম।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই ভারতীই ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠতা এবং বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিল বিজেপি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় কমিশন ভারতীকে জেলার এসপি-র পদ থেকে সরিয়ে দেয়। নানা সমাজবিরোধী কাজে যুক্ত শ্রীনু নায়ড়ুর খুনে দিলীপবাবুর নাম অন্যায় ভাবে জড়ানোর অভিযোগও ছিল ভারতীর বিরুদ্ধে। এ দিন তাঁকেই দলে আহ্বান জানিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘ভারতী ঘোষ আমার সঙ্গে দেখা করলে জানতে চাইব, কার নির্দেশে তিনি আমার বিরুদ্ধে খুনের মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন।’’ দিলীপবাবুর আরও দাবি, ‘‘কিষেণজির মৃত্যু সংক্রান্ত নথি ভারতী ঘোষের কাছে থাকতে পারে। যা তৃণমূল এবং সরকারের মারণপাখি হতে পারে। তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার আরও অনেক বিস্ফোরক তথ্যও উনি ফাঁস করে দিতে পারেন। সেই সব নথি উদ্ধারের জন্যই সিআইডি-কে দিয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করানো হচ্ছে বলে শুনেছি।’’
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য দিলীপবাবুর বক্তব্যকে আমলই দিচ্ছেন না। তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘এত দিনে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ল! জঞ্জাল তো জঞ্জালের কাছেই যাবে! পুলিশের আধিকারিক হতে গেলে যে আনুগত্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা জরুরি, ভারতী ঘোষের তা নেই।’’ আর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘সিবিআইকে দিয়ে অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফাইলগুলি কেন বন্ধ হল, সেটা বরং দেখা দরকার।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূল আর বিজেপি-র এক উঠোন, দুই ঘর। ফের তা স্পষ্ট হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy