Advertisement
০৮ মে ২০২৪

ডানকানের বাগানে বকেয়া মেটানো শুরু

অবশেষে চা শ্রমিকদের একাংশের বকেয়া পাওনা মেটাতে শুরু করল ডানকান গোষ্ঠী।মঙ্গলবার দুপুরের পরে মালবাজার মহকুমায় ‘অচলাবস্থায়’ থাকা তিনটি চা বাগানে গত এপ্রিল মাসের মজুরি মেটায় ডানকান গোষ্ঠী। মালবাজারের বাগরাকোট, নাগেশ্বরী এবং কিলকট চা বাগানের শ্রমিকদের এপ্রিলের বকেয়ার ৬০ শতাংশ মজুরি মিটিয়ে দেওয়া হয় এ দিন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:০৩
Share: Save:

অবশেষে চা শ্রমিকদের একাংশের বকেয়া পাওনা মেটাতে শুরু করল ডানকান গোষ্ঠী।

মঙ্গলবার দুপুরের পরে মালবাজার মহকুমায় ‘অচলাবস্থায়’ থাকা তিনটি চা বাগানে গত এপ্রিল মাসের মজুরি মেটায় ডানকান গোষ্ঠী। মালবাজারের বাগরাকোট, নাগেশ্বরী এবং কিলকট চা বাগানের শ্রমিকদের এপ্রিলের বকেয়ার ৬০ শতাংশ মজুরি মিটিয়ে দেওয়া হয় এ দিন। উল্লেখ্য এপ্রিলের ৪০ শতাংশ শ্রমিক মজুরি আগেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ দিন বাকি মজুরি মেটানোর পাশাপাশি তিনটি বাগানের কর্মীদের এপ্রিল মাসের পুরো বেতনও মিটিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, সোমবারই ডানকান-কর্তা জিপি গোয়েনকা জানিয়েছিলেন, সাম্প্রতিক ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী উত্তরবঙ্গে তাঁদের সাতটি বাগানের (কিলকট, নাগেশ্বরী, বাগরাকোট, গঙ্গারাম, গলগাছ, পাটাগোড়া ও রংলি-রাংলিয়ট) শ্রমিকদের বকেয়া মেটানোর কাজ শীঘ্রই শুরু করবেন তাঁরা। তবে ডানকান গোষ্ঠীর অন্য সাতটি বাগানের পরিচালন ভার অধিগ্রহণ ও হস্তান্তরের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। ওই বাগানগুলির শ্রমিকদের পাওনার বিষয়টির এখনও কোনও সুরাহা না হওয়ার জন্য আইনি জটিলতাকেই দায়ী করেছিলেন তিনি।

এ দিন যে তিনটি বাগানের শ্রমিকদের বকেয়া মেটানো হয়েছে, সেগুলির সুপারিনটেনডেন্ট ম্যানেজার চন্দ্রপ্রকাশ কাপুর বলেন, ‘‘তিন বাগানের শ্রমিকদের মজুরি এবং কর্মীদের বেতন বাবদ মোট ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।’’ হাতে কিছু অর্থ আসায় সামান্য হলেও এ দিন স্বস্তি ফিরেছে ডানকানের বাগানগুলোতে। নাগেশ্বরী এবং কিলকোটের কংগ্রেসের চা শ্রমিক নেতা মানিক শীলের কথায়, ‘‘সামান্য কিছু টাকাটাই এখন মহার্ঘ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাগান স্বাভাবিক হয়ে যাক এটাই আমাদের একমাত্র দাবি।’’ চা শ্রমিক নেতা মনি ডার্নালের কথায়, ‘‘কিছু চা বাগানে মজুরি মেটানো শুরু হয়েছে। আশা করছি বাকি বাগানগুলিতেও দ্রুত বকেয়া মেটানো হবে।’’

এ দিকে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পযর্ন্ত ডুয়ার্সে হান্টাপাড়া ও গেরগেন্দা চা বাগানে তিন চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়। হান্টাপাড়া চা বাগানের বাসিন্দা বিষ্ণু প্রজা(৩৭) মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ শরীর নিয়ে নদীতে পাথর ভাঙতে গিয়েছিলেন। সেখানে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্য শ্রমিকরা তাঁকে তুলে বাড়িতে নিয়ে যান। বেলা ১২টা নাগাদ বীরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। মৃত শ্রমিকের স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে। গেরগেন্দা চা বাগানের ১৩ নম্বর লাইনে সোমবার রাতে বাড়িতেই মারা যায় এক শ্রমিক । ওই শ্রমিকের নাম প্রতাপ লামা(৪৫) ।

আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক সমীরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই চা বাগানগুলিতে নিয়মিত মেডিক্যাল টিম যাচ্ছে। ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা খোঁজ নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Duncan tea garden
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE