Advertisement
E-Paper

ইস্ট-ওয়েস্ট ধাঁচে রেলপথের উদ্যোগ

রেল সূত্রে খবর, গড়ে ৩০০-৩৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর জন্য সম্পূর্ণ পৃথক লাইন তৈরি করা জরুরি। মন্ত্রকের হিসেব জমির খরচ বাদ দিয়ে ওই প্রকল্প রূপায়ণে প্রতি কিলোমিটারে খরচ হতে পারে গড়ে ১০০ কোটি টাকা।

ফিরোজ ইসলাম

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৬

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের ধাঁচে গড়ে উঠতে পারে কেন্দ্রের হাই স্পিড রেল প্রকল্প!

খরচ অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে কী ভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে হাই স্পিড রেল প্রকল্প গড়ে তোলা যায় হন্যে হয়ে তার উপায় খুঁজছে রেল মন্ত্রক। মঙ্গলবার কার্যত সেই যোগাযোগের সূত্রেই দিল্লির ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশনের (এনএইচএসআরসিএল) পাঁচ কর্তা ঘুরে দেখে গেলেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক।

রেল সূত্রে খবর, গড়ে ৩০০-৩৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর জন্য সম্পূর্ণ পৃথক লাইন তৈরি করা জরুরি। মন্ত্রকের হিসেব জমির খরচ বাদ দিয়ে ওই প্রকল্প রূপায়ণে প্রতি কিলোমিটারে খরচ হতে পারে গড়ে ১০০ কোটি টাকা। রেলমন্ত্রী পীযুষ গয়াল চান, ওই খরচকে অর্ধেক বা তার কমে নামিয়ে আনতে। সেই লক্ষ্যে উপায় খুঁজতে মন্ত্রকের আধিকারিক এবং রেল বোর্ডকে নির্দেশও দিয়েছেন। জমির সমস্যা এড়িয়ে প্রকল্প তৈরি করতে জাতীয় সড়কগুলির মাঝে স্তম্ভ তৈরি করে পৃথক পথ তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করছে রেল মন্ত্রক। অনেকটা মেট্রোর ‘ভায়াডাক্টের’ ধাঁচে একটি স্তম্ভের উপরে পাশাপাশি দু’টি রেল লাইন তৈরির ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে। তাতে নতুন করে জমি নেওয়ার সমস্যা থেকে যেমন মুক্তি পাওয়া যাবে, তেমনই প্রকল্প তৈরির ক্ষেত্রে অন্য হ্যাপাও অনেক কমে যাবে।

প্রসঙ্গত, মুম্বই থেকে আমদাবাদের মধ্যে হাই স্পিড রেল প্রকল্প নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে এনএইচআরসিএল। এক মেট্রো কর্তা জানান অনেকটা মেট্রোর মতোই সীমিত সংখ্যক কোচ নিয়ে চলবে হাই স্পিড ট্রেনগুলি। সরকার চায় কলকাতা-দিল্লির মতো শহরগুলির মধ্যে রেলপথে যোগাযোগের সময় সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে নামিয়ে আনতে। নতুন করে জমি নেওয়ার সমস্যা যতটা সম্ভব কমিয়ে, রাস্তাঘাট-সহ অন্য পরিকাঠামো সচল রেখে কী ভাবে কম খরচে ওই প্রকল্প গড়া যায় তার উপায় নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে রেল মন্ত্রক।

এক মেট্রো আধিকারিক জানান, মঙ্গলবার এনএইচআরসিএল-এর পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের প্রযুক্তিগত দিকগুলি খতিয়ে দেখেন। তাঁরা হাওড়া ময়দান এলাকাতেও যান। কয়েক ঘণ্টা ধরে ঘুরে দেখেন প্রকল্পের খুঁটিনাটি। তবে এ সম্পর্কে সরকারি ভাবে কিছু জানাতে চাননি মেট্রো রেলের আধিকারিকেরা। কলকাতা মেট্রোরেলওয়ে কর্পোরেশনের (কেএমআরসিএল) এক আধিকারিক বলেন, “এই প্রকল্পের প্রযুক্তিগত দিক খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন সময়ে দেশের অগ্রণী সংস্থার অনেকেই এসেছেন। সে ভাবেই ওঁরা এসেছিলেন।”

East-West Metro environment-friendly ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy