স্রেফ নিয়মিত টিকিট পরীক্ষার কাজটা করলেই যে রেলের ভাঁড়ার অনেকটা ভরে উঠতে পারে, এক সপ্তাহের অভিযানেই তার প্রমাণ পেলেন পূর্ব রেলের কর্তারা। ওই সাত দিনে লোকাল ট্রেনে টিকিট পরীক্ষা করে জরিমানা বাবদ পূর্ব রেলের আদায় হয়েছে ৭৩ লক্ষ টাকা!
এককালীন আদায় হিসেবে এটা রেকর্ড বলে জানাচ্ছেন রেলকর্তারা। যা শুনে নিত্যযাত্রীদের সখেদ টিপ্পনী, ‘নিয়মিত টিকিট পরীক্ষা হলে লোকাল ট্রেনে ভিড় অনেকটাই কমে যেত। তা না-হওয়ায় বিনা টিকিটের যাত্রীরা দিব্যি রয়েছেন। আর ঝক্কি সামলাতে হয়রান হতে হচ্ছে টিকিট কেটে ট্রেনে চড়া যাত্রীদের!’
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, গত ১৭ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি আচমকা টিকিট পরীক্ষার অভিযান চালানো হয়। তাতে ওই শাখার বিভিন্ন ট্রেনে ৪২ হাজার যাত্রী ধরা পড়েন। তাঁদের বেশির ভাগের কাছে টিকিট ছিল না। আবার অনেকে যাত্রাপথের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী টিকিট কাটেননি। ঢালাও কারচুপির প্রমাণ মিলেছে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও। নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, ইদানীং টিকিট পরীক্ষকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিনা টিকিটের যাত্রী বেড়ে গিয়েছে। এই ধরনের বিশেষ অভিযান চালিয়ে সেটা টের পাচ্ছেন রেলের কর্তারাও।
যাত্রীদের অভিযোগ, লোকাল বা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে গেটের সামনে সারি সারি মালভর্তি বস্তা বা ঝুড়ি সাজিয়ে রাখায় তাঁদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। কামরায় ওই সব মালপত্রের কোনও দাবিদার সচরাচর চোখে পড়ে না। কারণ তাঁরা থাকেন কামরার এ-দিকে ও-দিকে ছড়িয়েছিটিয়ে। আর নির্দিষ্ট স্টেশন এলেই বস্তা বা ঝুড়ি ঠিক নামিয়ে নেন তাঁরা। ওই সব মালপত্রের দাবিদারদের বেশির ভাগের কাছেই টিকিট থাকে না। অথচ তাঁরা নিশ্চিন্তে ট্রেনে যাতায়াত করে চলেছেন দিনের পর দিন।