—ফাইল চিত্র।
বাঘশুমারির আদলে এ বার বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে শুরু হল হাতি গণনার কাজ। মঙ্গলবার বাঁকুড়া জেলার তিনটি বনবিভাগের সর্বত্র একই সঙ্গে গণনার কাজ শুরু করেছে বন দফতর।
বন দফতর সূত্রে খবর, এত দিন কাগজেকলমে হাতি গণনার কাজ হলেও এই প্রথম এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘এম ট্রিপস ইকোলজিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন’। এত দিন পর্যন্ত এই অ্যাপ্লিকেশনটি বাঘশুমারির কাজেই ব্যবহার করা হত।
দীর্ঘ দিন ধরেই বাঁকুড়া জেলায় হাতিদের আনাগোনা। নব্বইয়ের দশক থেকে বাঁকুড়ার বনাঞ্চলে খাবারের খোঁজে আসতে শুরু করে দলমার দাঁতালের দল। বছরের বিভিন্ন সময় বাঁকুড়ার বিভিন্ন বনাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ায় তারা। দলছুট হয়ে সে দলের একাধিক হাতি বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে পাকাপাকি ভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে।
২০১৭ সালের পর চলতি বছর হাতি গণনার কাজ শুরু করেছে বন দফতর। দফতর সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার জঙ্গলে এই মুহূর্তে হাতির সংখ্যা, বয়স, চরিত্র ও আনাগোনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রুট চিহ্নিত করতে এ কাজ শুরু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলায় বাঁকুড়া উত্তর, দক্ষিণ এবং পাঞ্চেত বনবিভাগ মিলিয়ে মোট ১৪,০০০ হেক্টর বনভূমি রয়েছে। এই বনভূমিতে থাকা হাতির বিশদ তথ্য জানতে ও তা নথিবদ্ধ করতে জেলার ৯৪টি বিটকে মাঠে নামানো হয়েছে। হাতি গণনার জন্য প্রতিটি বিটের পাঁচ জন বনকর্মীকে নিয়ে একটি করে দল গঠন করেছে বন দফতর। প্রতিটি দলের নেতৃত্বে থাকবেন বন দফতরের এক জন করে আধিকারিক। দলের নেতৃত্ব দেওয়া আধিকারিকের মোবাইলে ‘এম ট্রিপস ইকোলজিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন’ থাকবে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গলে ঘুরে হাতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন বন আধিকারিকেরা। জঙ্গলে হাতি দেখতে পেলে বা হাতির যাতায়াতের চিহ্ন পেলে ওই অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে ছবি তোলার পাশাপাশি তার বিশদ তথ্য আপলোড করবেন তাঁরা। পরে সেই তথ্যের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বনাধিকারিক উমর ইমাম বলেন, ‘‘সাধারণত প্রতি চার বছর অন্তর এই হাতিশুমারি কাজ করা হয়। আগে সে কাজে কাগজেকলমে তথ্য সংগ্রহ করা হলেও এই প্রথম মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই গণনার মাধ্যমে সাম্প্রতিককালে হাতির গতিবিধি সংক্রান্ত সামগ্রিক তথ্য সামনে এলে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিকল্পনা করার কাজে সুবিধা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy