Advertisement
E-Paper

ডেঙ্গি-জ্বরে মৃত আরও এগারো

ডেঙ্গি এবং জ্বরে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে মারা গিয়েছেন এগারো জন— উত্তর ২৪ পরগনার ছ’জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক জন, কলকাতার দু’জন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দু’জন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:০৫

বাবা নিখোঁজ ছ’বছর ধরে। দুই ছেলেকে মানুষ করছিলেন মা। চার দিনের জ্বর কেড়ে নিল তাঁকেও।

সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের বাসিন্দা ৩০ বছরের কাজল হাইতের মৃত্যু হয় বারাসতের নার্সিংহোমে। বেসরকারি ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গি ধরা পড়ায় পাড়ার লোকজনই চাঁদা তুলে তাঁকে ভর্তি করান নার্সিংহোমে। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ লেখা হয়েছে, শক সিনড্রোম।

ডেঙ্গি এবং জ্বরে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে মারা গিয়েছেন এগারো জন— উত্তর ২৪ পরগনার ছ’জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক জন, কলকাতার দু’জন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দু’জন।

খড়দহের রবীন্দ্রপল্লির ২৫ বছরের যুবক অভ্রদীপ গুপ্তর মৃত্যু হয়েছে বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ ছিল। কামারহাটির ৩৬ বছরের শেফালি রায়ের মৃত্যু হয়েছে সাগর দত্ত হাসপাতালে। ডেথ সার্টিফিকেটে ‘অজানা’ জ্বর লেখা হয়। মধ্যমগ্রামের বাদু-র ২৫ বছরের গোলাম হোসেন মারা গিয়েছেন আরজিকর হাসপাতালে। জ্বরের কারণ ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়নি। খামার রামেশ্বরপুরের বাসিন্দা ১৯ বছরের আনিসুর রহমান কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মারা গিয়েছেন। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ আছে। আনিসুর তিন দিন আগে আরজিকরে দেখিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ভর্তি হননি। সোমবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন।

মঙ্গলবার কেষ্টপুরের ঋতু সরকারের মৃত্যু হয় আইডি হাসপাতালে। এ নিয়ে গত সাত দিনে কেষ্টপুরে তিন জনের মৃত্যু হল। তিন জনকেই ভর্তি করা হয়েছিল আইডি-তে। ঋতুর মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে ফেব্রাইল ইলনেস ব্লিডিং ডিসঅর্ডার। ডেঙ্গির বদলে সরকারি চিকিৎসকদের এটাই লিখতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।

সোমবার রাতে বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন রিজেন্ট এস্টেটের অভিষেক পাল (৩৯)। তাঁর ডেঙ্গি হয়েছিল বলে পুরসভার কাছে খবর এসেছে। এ দিন পুরসভার ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজেন্দ্রনগরে জ্বরে আক্রান্ত এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও পুরসভা সূত্রের খবর। বাড়িতে মৃত ওই ব্যক্তির জ্বরের কারণ খতিয়ে দেখছে পুরসভা।

পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বাসিন্দা ১৫ বছরের সুলেখা মাইতিকে এ দিন তমলুক হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছিল। পথেই মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছে তমলুক হাসপাতাল। রামকৃষ্ণ প্রধান (৬২) বুধবার জ্বর নিয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শুক্রবার তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়। রবিবার মৃত্যু হয় তাঁর।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের নাটাগাছির বাসিন্দা ২৮ বছরের জ্বরের রোগী প্রদ্যোৎ কুমার নস্কর এ দিন সোনারপুরের একটি নার্সিংহোমে মারা গিয়েছেন। চিকিৎসক তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গি লিখেছেন।

Bengal Dengue Deaths
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy