মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেসের আয়োজনে নির্বাচনী সভায় কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শশীভূষণ দে স্ট্রিটে শনিবার। — নিজস্ব চিত্র।
মানুষের জীবনের মূল সমস্যা থেকে দূরে থেকে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস অন্য দিকে নজর ঘুরিয়ে দিতে চাইছে, এই অভিযোগেই ফের এক সুরে সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁদের দাবি, কংগ্রেস ও বামপন্থীরা লড়াই করছে দেশ বাঁচাতে, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করতে এবং মানুষের রুটি-রুজির স্বার্থে। কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে শনিবার সন্ধ্যা ও রাতে জোড়া সভায় হাজির ছিলেন দুই নেতা।
কলকাতা উত্তরের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যের সমর্থনে মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে সভা ছিল শশীভূষণ দে স্ট্রিটে। সেখানেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর বলেন, ‘‘আমরা এবং বামপন্থীরা এক হয়ে লড়াই করছি দেশ বাঁচনোর জন্য, এই দেশের বৈশিষ্ট্য রক্ষা করার জন্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিভাজন তৈরি করতে চাইছেন। এই রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী তাল মেলাচ্ছেন। শিল্প, চাকরি, মানুষের কর্মসংস্থানের কোনও চিন্তা তাঁদের কারও নেই। তাঁদের শুধু ভাগাভাগি!’’ কংগ্রেস দেশে ক্ষমতায় এলে কাজের জন্য প্রশিক্ষণের আইন আনার যে প্রতিশ্রুতি ইস্তাহারে দিয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অধীর।
একই সুরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিমের লড়াই, ‘‘এটা রুটি-রুজি, হক আদায় করার লড়াই। কিন্তু দুই শাসক দলের প্রচার দেখলে সে সব বোঝা যাবে না। কখনও রামের নামে, কখনও রামকৃষ্ণকে টেনে ভোট করার চেষ্টা চলছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘তবে মানুষ এই ভাগাভাগির খেলা এ বার ধরে ফেলছেন। দুই দলেরই বিপদ বাড়ছে।’’ আর প্রার্থী প্রদীপের বক্তব্য, ‘‘বাংলার যে চেহারা আজ হয়েছে, সেটা আমাদের চেনা বাংলা নয়! পচনের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে। সেই জন্যই বাম ও কংগ্রেস কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে।’’ পরে খিদিরপুরে কলকাতা দক্ষিণের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের সমর্থনে সমাবেশেও ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। দুর্যোগে ভেস্তে না গেলে আজ, রবিবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের সমর্থনে সন্তোষপুর থেকে হালতু পর্যন্ত রোড-শো করার কথা অধীর এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির। পরে বারুইপুরে সভা করার কর্মসূচিও রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। সবই অবশ্য প্রাকৃতিক পরিস্থিতির উপরে নির্ভরশীল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy