ভাঙচুর: শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনে। —নিজস্ব চিত্র।
অন্যত্র কাজে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার নজিরবিহীন কাণ্ড ঘটল স্বাস্থ্য ভবনে। শাসক দলের কর্মী সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশন এবং সিপিএম প্রভাবিত সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি বিক্ষোভ দেখাল স্বাস্থ্যসচিবের ঘরের সামনে। পুলিশ এলে কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অভিযোগ, ধাক্কাধাক্কিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন কো-অর্ডিনেশন কমিটির এক নেতা। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ইসিজি করার সময়েই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর নাম কাজলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় (৫২)। তিনি হাওড়ার রামরাজাতলার বাসিন্দা এবং স্বাস্থ্য ডিরেক্টরেটের আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট। এই খবর স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। শাসক ও বিরোধী সংগঠনের কর্মীরা একযোগে স্বাস্থ্যসচিবের ঘরের সামনে বেপরোয়া ভাঙচুর চালায়।
হাসপাতালে গিয়ে বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে পুলিশ ডেকে যা হল, তাতে ওই কর্মীর মৃত্যু হত্যার সামিল।’’ যদিও পুলিশের দাবি, কাজলবাবু আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতা বিজয়শঙ্কর সিংহ বলেন, ‘‘দলমত নির্বিশেষে এর প্রতিবাদে আন্দোলন চালাব।’’ তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছি।’’
স্বাস্থ্য ডিরেক্টরেটের ৬৭ কর্মীকে অন্যত্র কাজে পাঠানোর (ডিটেলমেন্ট) নির্দেশ নিয়ে এ দিন দুপুর ১টা থেকে স্বাস্থ্য ভবনের এক তলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। দুপুরে দু’টো থেকে বিক্ষোভ হয় স্বাস্থ্যসচিবের ঘরের বাইরে।
কর্মচারীদের একাংশের অভিযোগ, এই নির্দেশ বেআইনি। যদিও প্রশাসনের দাবি, কর্মচারীদের অন্যত্র কাজে পাঠানোর নিয়মে আগেই বদল এনেছে সরকার। তা ছাড়া, তাঁদের বেতন স্বাস্থ্য দফতর থেকেই হবে। যদিও স্বাস্থ্যসচিব অনিল বর্মা এবং প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে ফেডারেশন এবং কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতাদের হুমকি, নির্দেশ পুনর্বিবেচনা না করলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy