Advertisement
E-Paper

আবগারি-অভিযানে আগুন, দগ্ধ দোকানি

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৩৩
এই দোকানেই ঘটনা ঘটেছে। —নিজস্ব চিত্র

এই দোকানেই ঘটনা ঘটেছে। —নিজস্ব চিত্র

ব্যোমকেশ গোপ

অবৈধ মদের কারবার বন্ধে চলছিল অভিযান। সে সময় একটি দোকানে জ্বলন্ত উনুনে পেট্রল ছোড়ার অভিযোগ উঠল আবগারি দফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধে। আগুনের শিখায় দোকানদার পুড়ে যান বলে পরিবারের দাবি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের তিরাটের হাড়াভাঙা গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ মানেনি আবগারি দফতর। তাদের পাল্টা অভিযোগ, ব্যোমকেশ গোপ নামে ওই ব্যক্তিকে রানিগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে কয়েক জন তাঁকে ছিনিয়ে নেয়।

অগ্নিদগ্ধ ব্যোমকেশ দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। অবস্থা সঙ্কটজনক।

আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেন, ‘‘তাদের হেফাজত থেকে ওই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আবগারি দফতর। রাত পর্যন্ত দগ্ধ ব্যক্তির তরফে অভিযোগ মেলেনি। বিষয়টি স্পর্শকাতর। তদন্ত চলছে।’’ যদিও ব্যোমকেশবাবুর বাবা নিতাই গোপের দাবি, তিনি রানিগঞ্জ থানায় আবগারি দফতরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন শুক্রবার দুপুরে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আবগারি দফতরের রানিগঞ্জ শাখার আধিকারিক-সহ সাত জন কর্মী চপের দোকানদার ব্যোমকেশবাবুর বাড়িতে তল্লাশিতে যান। ব্যোমকেশবাবুর স্ত্রী আশাদেবীর অভিযোগ, “বাড়িতে এবং দোকানে বেআইনি মদ মেলেনি। তাতে খেপে গিয়ে ওরা বাড়ির লোক, দোকানের কর্মী মিলিয়ে ছ’জনকে বেধড়ক মারে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘দোকানের কাছে রাখা দু’লিটার পেট্রলের একটি জার জ্বলন্ত উনুনে ছোড়ে আবগারি দফতরের লোকেরা। পুড়ে যান কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা আমার স্বামী।’’

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের আরতি বেসরার ক্ষোভ, ‘‘অভিযান চলতেই পারে। কিন্তু মারধর বা উনুনে পেট্রল ছুড়ে দেওয়া মানা যায় না। ওই সরকারি কর্মীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’’ এলাকাবাসীর একাংশের ক্ষোভ, হাড়াভাঙা ও লাগোয়া এলাকায় অন্তত ১৫টি দোকানে অবৈধ ভাবে মদ বিক্রি হলেও সেখানে অভিযান চালায় না আবগারি দফতর।

আবগারি দফতরের দলটির অন্যতম নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, ‘‘মারধর বা পেট্রল ছোড়ার অভিযোগ ঠিক নয়।’’ আবগারি দফতরের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সুপারিন্টেন্ডেন্ট তন্ময় নাগের দাবি, তাঁদের দফতর অবৈধ মদের রমরমা রুখতে ওই এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালায়। তিনি বলেন, ‘‘ব্যোমকেশকে রানিগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কয়েক জন তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কী ভাবে আগুন লাগল জানা নেই।’’

Hooch Rai Fire Asansol Raniganj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy