Advertisement
E-Paper

জ্বর-ডেঙ্গিতে মৃত আরও ৫

জ্বরে যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, সকলেই উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। মৃতেরা হলেন, টাকির বিভাস স্বর্ণকার (১৮), বাদুড়িয়ার আধারমানিক গ্রামের সৌরভ সানা (২৭) এবং স্বররূপনগরের চারঘাটের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুরাইয়া খাতুন (১৬)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:২৬

জ্বর-ডেঙ্গিতে রাজ্যে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হল।

শনিবার রাতে বিধাননগর পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে মারা যান বাগুইআটির বাসিন্দা রমেশচন্দ্র বারুই (৫৯)। হাসপাতালে সূত্রের খবর, রমেশবাবুর ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। মৃতের ভাই প্রদীপ বারুই জানান, ১৯ নভেম্বর তাঁর দাদা জ্বরে আক্রান্ত হন। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, প্লেটলেট ৮৬ হাজারে নেমে গিয়েছে। পরদিন, ২০ নভেম্বর বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রমেশবাবুকে।

প্রদীপবাবুর অভিযোগ, সেখানেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাননি তাঁর দাদা। বাধ্য হয়ে বন্ড দিয়ে রমেশবাবুকে বাগুইআটির এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিজনেরা। সেখানে তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। শেষে শনিবার রাত ১টা ৪০ মিনিটে মারা যান রমেশবাবু।

অন্য দিকে, দু’মাসের ব্যবধানে হুগলির বৈদ্যবাটিতে ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় এক জনের। শনিবার মিনতি জানা (৬২) নামে ডেঙ্গি আক্রান্ত ওই মহিলার মৃত্যু হয় শ্রীরামপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর বাড়ি বৈদ্যবাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিস্তারিণী টেম্পল রোডে। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে রক্তাল্পতা, ফুসফুসের সংক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গিকেও মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পুর-কর্তৃপক্ষ অবশ্য ডেঙ্গিতে মৃত্যুর কথা মানতে নারাজ। পুরপ্রধান অরিন্দম গুঁইনের দাবি, ‘‘ওই মহিলার অনেক শারীরিক সমস্যা ছিল। তাতেই মারা গিয়েছেন।’’

জ্বরে যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, সকলেই উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। মৃতেরা হলেন, টাকির বিভাস স্বর্ণকার (১৮), বাদুড়িয়ার আধারমানিক গ্রামের সৌরভ সানা (২৭) এবং স্বররূপনগরের চারঘাটের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুরাইয়া খাতুন (১৬)। প্রতিটি পরিবারই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গি।

টাকির ন’নম্বর ওয়ার্ডের যুগিয়াপাড়া রেলগেট এলাকার বাসিন্দা বিভাসের দিনকয়েক আগে জ্বর হয়। তাঁকে প্রথমে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শুক্রবার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। শনিবার সেখান থেকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বিভাস মারা যান। একই ভাবে শনিবার বসিরহাট জেলা হাসপাতাল থেকে আর জি করে আনার পথে মারা যান সৌরভ।

জ্বর হওয়ায় সুরাইয়াকে গত ১৩ নভেম্বর হাবরা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখান থেকে ১৮ নভেম্বর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সে ফের অসুস্থ হরয়ে পড়লে ২২ নভেম্বর ফের ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার সুরাইয়াকে আর জি করে আনা হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, আর জি কর সুস্থ বলে সুরাইয়াকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু গভীর রাতে সুরাইয়া বমি করতে করতে মারা যায়। ঠিকমতো চিকিৎসা না-হওয়াতেই এই মৃত্যু।

Death Dengue Fever ডেঙ্গি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy