Advertisement
E-Paper

বাড়ছে উড়ান, কাবু বাগডোগরা

এই মুহূর্তে ১৯টি উড়ান ছাড়ে বাগডোগরা থেকে। বেশির ভাগই দুপুর ১২টা থেকে ৪টের মধ্যে। খুব তাড়াতাড়ি আরও ৬-৭টি উড়ান বাড়ার কথা। আর সে খবরেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ছোট টার্মিনালে যাত্রীদের কী করে জায়গা দেওয়া যাবে, তা ভেবে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।

সুনন্দ ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৭ ০৩:২১

এই মুহূর্তে ১৯টি উড়ান ছাড়ে বাগডোগরা থেকে। বেশির ভাগই দুপুর ১২টা থেকে ৪টের মধ্যে। খুব তাড়াতাড়ি আরও ৬-৭টি উড়ান বাড়ার কথা। আর সে খবরেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ছোট টার্মিনালে যাত্রীদের কী করে জায়গা দেওয়া যাবে, তা ভেবে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।

মাত্র দু’টো কনভেয়ার বেল্ট। বিমান দাঁড়ানোর পাঁচটি পার্কিং বে। উপরে যাত্রীদের বসার চারশো চেয়ার। যাত্রীদের জন্য উপরে দু’টো ও একতলায় একটি মাত্র শৌচাগার। এখনই দিনে গড়ে ৩৫০০ যাত্রীর যাতায়াত। যে সংখ্যাটা মাস ছ’য়েক আগেও দেড় হাজারের কাছে ঘোরাফেরা করছিল। ৬-৭টি উড়ান বাড়লে যাত্রী সংখ্যা চার হাজার ছোঁবে।

তাই অবিলম্বে বাগডোগরা বিমানবন্দরের জায়গা বাড়ানোর প্রয়োজন। ৭০ একর জমির কথা আপাতত ভাবা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ওই জমি চাইতে মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে রাজ্য সরকারের। ঘোষিত নীতি — কৃষকদের কাছ থেকে জমি নেবে না সরকার। কারও প্রয়োজন হলে সে সরাসরি জমি কিনে নেবে। এ কথা ঠারেঠোরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলাও হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অন্য রাজ্য বিনা পয়সায় জমি দিচ্ছে। এখানে কেন কিনতে হবে?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান বাগডোগরা থেকে উড়ান বাড়ুক। তাই সেখানে জ্বালানির উপর থেকে রাজ্যের করও তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু উড়ান বাড়াতে গিয়ে এখন নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। বিমানবন্দরের এক অফিসারের কথায়, ‘‘দুপুরে একটায় শৌচাগারের সামনে লাইন পড়ে যাচ্ছে। ডিপারচার এলাকায় বসার জায়গা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। পাঁচটা পার্কিং বে ভর্তি হওয়ার পরে চটজলদি কোনও একটি বিমান বে খালি করে রওনা দিলে তবেই ৬ নম্বর বিমানটি নামতে পারছে।’’

বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘অবিলম্বে টার্মিনাল বিল্ডিং বাড়ানো দরকার। ৫টির জায়গায় ১০টি পার্কিং বে তৈরি করা দরকার। নতুন করে বড় কার্গো বিল্ডিং দরকার।’’ প্রথমে ঠিক হয়েছিল বিমানবন্দর লাগোয়া ১২০ একর জায়গা নিয়ে এই সম্প্রসারণ হবে। কিন্তু জমির সমস্যায় সেটা ৭০ একরে নেমে এসেছে।

রাকেশ জানিয়েছেন, বিমানসংস্থাগুলি ভোর বা সন্ধের পরে উড়ান চালালে দিনের ওই চার-পাচ ঘণ্টায় উড়ানের চাপ কমে। কিন্তু বেঁকে বসেছে বিমানসংস্থাগুলি। তাদের যুক্তি, ভোরের দিকে বাগডোগরার আকাশ সব সময়

পরিষ্কার থাকে না। সম্প্রতি বাগডোগরায় নাইট ল্যান্ডিং সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সন্ধের দিকেও বাগডোগরায় যেতে চায় না বিমানসংস্থাগুলি। তাদের যুক্তি, বাগডোগরা যাঁরা যান, তাঁদের ৮০ শতাংশই পর্যটক এবং তাঁরা বেগডোগরায় পৌঁছে সে দিনই পাহাড়ে উঠে যেতে চান।

এই পরিস্থিতিতে এ মাসের শেষে বৈঠকে বসার কথা রাজ্য ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। বাগডোগরা নিয়ে দু’পক্ষই যেহেতু সংবেদনশীল, তাই দ্রুত সমাধানের আশা করছেন নবান্ন ও বিমানবন্দরের কর্তারা।

Bagdogra Flight
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy