চেন্নাইয়ের মেঘে কলকাতার আকাশে ঢেকে গেল সূর্য।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণ ভারতে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টি হচ্ছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশে। রেল লাইনে জল উঠে ট্রেন চলাচল বন্ধ। জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকা। ওই নিম্নচাপের প্রত্যক্ষ কোনও প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও, চেন্নাই-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের মেঘ কিন্তু ছিটকে চলে এসেছে কলকাতায়। মঙ্গলবার সকালে শহরবাসীর সূর্যোদয় দেখা হয়নি। বেলার দিকে সূর্য মেঘের আড়াল থকে দুই একবার উঁকি মারলেও সারা দিন বাতাস ছিল ভারী। এ মাসের গোড়া থেকে একটু একটু করে উত্তুরে হাওয়া ঢুকছিল দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু সোমবার রাত থেকে চেন্নাই থেকে আসা মেঘের আস্তরণে সেই উত্তুরে হাওয়ার পথে পাঁচিল উঠল। গুমোট আবহাওয়ায় শীত শীত ভাবটা সাময়িক ভাবে বিদায় নিয়েছে।
শীত ঠিকমতো পড়লে ডেঙ্গি ও মশার উপদ্রব থেকে নিস্তার মিলবে বলে আশায় ছিলেন স্বাস্থ্যভবন এবং পুরসভার কর্তারা। কিন্তু চেন্নাইয়ের মেঘে কলকাতায় ফের মশা ও জীবাণুর অনুকূল পরিবেশ ফিরে আসায় শঙ্কায় স্বাস্থ্য-কর্তারা। কবে এই আবহাওয়া কেটে ফের সূর্য উঠবে, উত্তুরে বাতাস ঢুকবে তা জানতে হাওয়া অফিসের ফোন ঘোরাচ্ছেন স্বাস্থ্য-কর্তাদের অনেকেই। এক পরজীবী বিজ্ঞানীর মন্তব্য, ‘‘এবার ডেঙ্গি সংক্রমণ দ্রুত ছড়ানোয় বাড়িতে বাড়িতে শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু থাকা প্রচুর মানুষ রয়েছেন। আকাশ মেঘলা থাকায় ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশার সংখ্যা বাড়বে। বেশি সংখ্যার জীবাণুবাহক মশা এবং ডেঙ্গি রোগী কোনও পরিবেশে থাকলে সেখানে রোগ সংক্রমণ বহুগুণে বেড়ে যাওয়ার কথা। মেঘলা আবহাওয়াটা তাই এই অবস্থায় কলকাতার পক্ষে বিপজ্জনক।’’
কবে কাটবে এ বিপদের মেঘ?
আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, তামিলনাড়ু উপকূলে থাকা বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটির শক্তি আর বাড়বে না। নিম্নচাপ হিসেবেই তা তামিলনাড়ু উপকূল দিয়ে ঢুকে পড়বে স্থলভূমিতে। তারপরেই নিম্নচাপটি শক্তি হারাবে। নিম্নচাপটি স্থলভূমিতে ঢুকে পড়লেই কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকার আকাশ ফের পরিষ্কার হবে। বুধবার থেকেই কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মেঘ কাটতে শুরু করবে। আকাশ পুরোপুরি মেঘমুক্ত হলে ফের ঢুকতে শুরু করবে উত্তুরে হাওয়া। নামবে তাপমাত্রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy