প্রতীকী ছবি।
কার নামে কটা মামলা-এখন এটাই যেন প্রচারের বিষয় হয়ে উঠেছে দার্জিলিংয়ে। মোট ১০ জন প্রার্থী লড়াই করছেন দার্জিলিং বিধানসভা উপনির্বাচনে। তার মধ্যে প্রধান চার জন প্রার্থীর নামেই রয়েছে ২৯টি মামলা। পাহাড়ে নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হয়েছে এইসব ‘ফৌজদারি মামলা’। বিভিন্ন সভায় বিরোধীরা দাবি করছেন রাজ্যের শাসক দলের সহযোগিতায় মিথ্যা মামলায় তাঁদের ফাঁসাচ্ছে বিনয়পন্থী মোর্চা। যার পাল্টা প্রচারও চলছে বিনয় শিবিরের তরফ থেকে।
প্রার্থীদের মধ্যে সবথেকে বেশি মামলা রয়েছে তৃণমূল সমর্থিত নির্দল প্রার্থী বিনয় তামাংয়ের বিরুদ্ধে। তাঁর নামে রয়েছে ১৯টি মামলা। বিজেপি জোটের প্রার্থী নীরজ জিম্বার নামে নথিভুক্ত রয়েছে ২টি মামলা। নির্দল প্রার্থী স্বরাজ থাপার নামেও রয়েছে ২টি মামলা। স্বরাজকে কংগ্রেস, সিপিআরএম ও গোর্খা লিগের প্রতাপ খাতি গোষ্ঠী সমর্থন করেছে। মামলার সংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জাপ প্রার্থী অমর লামা। তাঁর নামে রয়েছে ৬টি মামলা। বাকি ছ’জন প্রার্থীর নামে অবশ্য কোনও মামলা নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা করেছেন প্রার্থীরা তা থেকেই উঠে এসেছে এইসব তথ্য।
হলফনামা অনুসারে বিনয়ের নামে যে ১৯টি মামলা আছে তার ৮টি রয়েছে কার্শিয়াং থানায়। ৪টি মামলা রয়েছে দার্জিলিং সদর থানায়। ১ টি মামলা আছে দার্জিলিং জোরবাংলো থানায়। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা থানায় ৪ টি এবং মালবাজার থানায় আছে ১ টি মামলা। আর একটি মামলা রয়েছে কালিম্পং থানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই ১৯ টি মামলায় বেশকিছু জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে। যদিও কোনও মামলায় এখনও পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হননি বিনয়। বাকি যে তিন প্রার্থীর নামে ফৌজদারি মামলা আছে তাঁদের কেউই কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত হননি।
মামলার চাপে পাহাড় ছেড়ে আত্মগোপন করে রয়েছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরির মত মোর্চার বেশ কয়েকজন নেতা। বিমলপন্থী মোর্চার দাবি, তাদের শতাধিক নেতা-কর্মী মামলার জেরে পাহাড়ে ফিরতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে বিনয়ের ১৯টি মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিমলপন্থী মোর্চার কার্যকারী সভাপতি লোপসাং লামা বলেন, ‘‘একই ধরনের মামলায় অভিযুক্ত হলেও বিনয় তামাং প্রার্থী হয়ে প্রচার করছেন আর বিমল গুরুংকে পাহাড়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’ বিনয় বলেন, ‘‘মানুষের জন্য লড়াই করতে গিয়েই মামলায় নাম জড়িয়েছে। আদালত তার বিচার করবে। এরসঙ্গে প্রার্থী হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy