গত বছর প্রথমে সংখ্যাটা ছিল মাত্র তিন। পরে দ্বিগুণ বেড়ে জাতীয় পুরস্কারের জন্য ছ’জন স্কুলশিক্ষকের নাম পাঠানোর বন্দোবস্ত হয়। এ বার সংখ্যাটা আর বাড়ছে না। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছ’জন শিক্ষকের নাম পাঠানো যাবে ওই পুরস্কারের জন্য। গত বার রাজ্য থেকে মাত্র তিনটি নাম পাঠানোর নির্দেশ আসায় শিক্ষক শিবিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে। পরে ছ’জনের নাম পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
২০১০ সালে এ রাজ্য থেকে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সারদাপ্রসাদ ইনস্টিটিউশনের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক নবকুমার কর্মকার। তিনি পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির নেতা। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ছ’জন শিক্ষকের নাম পাঠানো যাবে জেনে খুশি হয়েছি। গত বার পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাত্র এক জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের এখানে খুবই ভাল ও যোগ্য শিক্ষকেরা আছেন। এ বার চাইব একাধিক শিক্ষক যেন এই পুরস্কার পান।’’
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে যে-পদ্ধতিতে এই নাম পাঠানো হয়, তাতে শিক্ষক মহলের একাংশের খুব আপত্তি আছে বলে জানান ওই শিক্ষক-নেতা। তিনি জানান, এই পুরস্কারের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই উদ্যোগী হয়ে নাম পাঠাতে হয়। অন্য কোনও পুরস্কারের ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা হয় না। সৌগতবাবু বলেন, ‘‘অনেক যোগ্য শিক্ষক এ ভাবে নাম পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করেন। ফলে তাদের নাম পুরস্কারের জন্য বিবেচিতও হয় না। আমাদের মতে, সরকারকে এই ব্যপারে উদ্যোগী হতে হবে। প্রয়োজনে স্কুলগুলো থেকে যোগ্য শিক্ষকদের একটি তালিকা নিয়ে সেখান থেকে ইন্টারভিউ নিয়ে পুরস্কারের জন্য নাম পাঠাক সরকার।’’ অন্য দিকে, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, নির্বাচনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছয় শিক্ষকের নাম চেয়ে কেন্দ্র চমক দিতে চাইছে!
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গোটা দেশে জাতীয় পুরস্কারের জন্য ১৫৪ জনকে বেছে নেওয়া হবে। কোন রাজ্য থেকে ক’জন মনোনয়ন পাবেন, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা সম্প্রতি জারি করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, কর্নাটক, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৪টি রাজ্যের প্রতিটি থেকে জাতীয় পুরস্কারের জন্য নাম ছ’জন শিক্ষক পাঠানো যাবে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা সরাসরি নিজেরাই অনলাইনে পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মনোনীত শিক্ষকদের চূড়ান্ত পর্যায়ে জুরি বোর্ডের সামনে ‘প্রেজেন্টেশন’ দিতে হবে। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি এই পুরস্কার দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy