Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

অনলাইনে ভর্তিতে হেল্প ডেস্ক রাজ্যের

ভর্তি-দুর্নীতি রুখতে রাজ্য জুড়ে স্নাতক স্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া পুরোপুরি চলছে অনলাইনে। সরকারের নির্দেশ, কোনও ছাত্র সংগঠনই হেল্প ডেস্ক করতে পারবে না।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১৭
Share: Save:

দাদাগিরির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রনেতাদের ‘সাহায্য’ বন্ধ। কলেজে ভর্তির জন্য ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে এ বার হেল্প ডেস্ক খুলছে রাজ্য সরকারই। ওই সব হেল্প ডেস্ক থেকে পড়ুয়ারা বিনামূল্যে সাহায্য পাবেন বলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার জানিয়েছেন।

ভর্তি-দুর্নীতি রুখতে রাজ্য জুড়ে স্নাতক স্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া পুরোপুরি চলছে অনলাইনে। সরকারের নির্দেশ, কোনও ছাত্র সংগঠনই হেল্প ডেস্ক করতে পারবে না। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, বেশ কিছু কলেজে ছাত্র সংগঠন কলেজের পাশে সাইবার ক্যাফেতে বসিয়ে পড়ুয়াদের ফর্ম পূরণ করিয়েছে। তাই সম্পূর্ণ অনলাইন হলেও এ বারেও ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া দুর্নীতিহীন ছিল না বলে বিরোধীদের অভিমত। শিক্ষা শিবিরের মতে, সরকার নিজেরাই হেল্প ডেস্ক করে ভর্তি প্রক্রিয়াকে ‘ফুলপ্রুফ’ বা নিশ্ছিদ্র করতে চাইছে। পাশাপাশি রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়াদের অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে অসুবিধা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। দ্রুতগামী ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে নাকাল হতে হচ্ছে অনেক ছাত্রছাত্রীকেই।

শুধু দ্রুতগামী ইন্টারনেট পরিষেবা না-পাওয়ার অভিযোগ নয়, অনলাইনে ফর্ম পূরণের সময় সাইবার ক্যাফে অনেক ক্ষেত্রে বেশি টাকাও চাইছে বলে অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ, ফর্ম পূরণে কোনও ভুল হলে ফের ফর্ম পূরণের সময় আবার টাকা দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, অনেক সময়েই সাইবার ক্যাফেতে ফর্ম পূরণ করতে করতে মাঝপথে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিছু পরে বা পরের দিন ফের ইন্টারনেট সংযোগ এলে নতুন করে ফর্ম পূরণের সময় আবার তাঁদের টাকা দিতে হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী এ দিন বিকাশ ভবনে বলেন, ‘‘সরকারি অনলাইন হেল্প ডেস্কে দ্রুতগামী ইন্টারনেট পরিষেবা থাকবে। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে এই পরিষেবা দেওয়ায় গরিব পড়ুয়াদের ফর্ম পূরণে অনেকটা সুবিধা হবে।’’

অনেক সময় ভুল তথ্য লেখার জন্য মাঝপথে ফর্ম পূরণ আটকে যায়। সরকারি হেল্প ডেস্কে ফর্ম পূরণ করলে হেল্প ডেস্কের কর্মীরা ঠিক করে ফর্ম পূরণে সাহায্য করবেন।

এ দিন ‘বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ’ পোর্টালের উদ্বোধন করেন পার্থবাবু। তিনি জানান, ২০০৭ সালে এই স্কলারশিপ পেয়েছিলেন ৫৪৪ জন পড়ুয়া। ২০১৮-য় সংখ্যাটা হয় এক লক্ষ ২০ হাজার ৮০৩।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE