Advertisement
E-Paper

লোকসভার আগেই কি জিটিএ ভোট

২০১২ সালের ২৯ জুলাই জিটিএ ভোট হয়। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে কয়েক মাস প্রশাসনের কর্তারা বোর্ড পরিচালনা করেন। তার পর থেকে বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রধান বিনয়।

শুভঙ্কর চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২৮
—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

জিটিএ-র আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত তা কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেই জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তার পর যদি রাজ্য সরকার সবুজ সঙ্কেত দেয়, তা হলে লোকসভা ভোটের আগেই হতে পারে জিটিএ নির্বাচন। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক জয়শী দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘পুনর্বিন্যাসের ফাইল আমরা প্রায় গুটিয়ে ফেলেছি। জিটিএ ভোট লোকসভার আগেও হতে পারে, পরেও হতে পারে। প্রশাসন তৈরি।’’ সূত্রের খবর, নির্বাচনের জন্য তলে তলে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন বিনয় তামাংপন্থী মোর্চার নেতারা। বিনয় তামাংও বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’’

২০১২ সালের ২৯ জুলাই জিটিএ ভোট হয়। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে কয়েক মাস প্রশাসনের কর্তারা বোর্ড পরিচালনা করেন। তার পর থেকে বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রধান বিনয়। ছ’মাস করে তিন দফায় বেড়েছে বোর্ডের মেয়াদ। গত মে মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কালিম্পংয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করতে যান, সেই সময়ে বিনয় বলেছিলেন, ‘‘এখনও ছাই চাপা আগুন রয়েছে পাহাড়ে। সে সব না নিভিয়ে ভোট করলে বড় গোলমাল এবং রক্তপাত হতে পারে।’’ সেটা তাঁরা চান না বলে জানিয়ে তিনি ইঙ্গিত দেন, জিটিএ ভোট আপাতত হচ্ছে না।

তা হলে চার মাসের মধ্যে কেন মত বদলালেন বিনয়রা? এর জবাব দিতে চাননি বিনয়। বলেন, ‘‘এ সব নিয়ে কিছু বলব না। শুধু বলতে পারি, মানুষ আমাদের পক্ষে। তাই ভোট হতে বাধা নেই।’’ যদিও পাহাড়বাসীর একাংশ বলছে, সম্প্রতি বিমল গুরুংয়ের লোকজন দিল্লিতে তৎপরতা বাড়াতেই সম্ভবত মত বদলেছেন বিনয়পন্থীরা। বিমলপন্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর পরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের তোড়জোড় শুরু হতে পারে। পাহাড়বাসীর একাংশের বক্তব্য, বিনয় চাইছেন, ভোটে জিতে জিটিএ প্রধান হতে। তা হলে তাঁর জোর অনেক বেড়ে যাবে। তখন দিল্লির পক্ষেও তাঁকে বাদ দিয়ে বৈঠক করা কোনও ভাবে সম্ভব হবে না।

বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘‘সরকারি প্রভাব খাটিয়ে ভোটে জিতে নিজেদের শক্তি বাড়াতে চাইছেন বিনয়রা। তবে সেই আশা পূর্ণ হবে না।’’ এই ভোটের বিরোধিতা করবেন জানিয়ে জিএনএলএফ-এর সাধারণ সম্পাদক নীরজ জিম্বা বলেন, ‘‘জিটিএ-র নির্বাচন রাজ্য সরকারের চাপিয়ে দেওয়া। ওই ভোট আমরা মানি না।’’

GTA Election State Government Lok Sabha Election 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy