Advertisement
০৬ মে ২০২৪
West Bengal Health Department

প্রান্তিক মানুষের সুবিধা ভেবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সময়ে বদল

সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত পরিষেবা মিলবে সেখানে। কিন্তু মঙ্গল ও শুক্রবার ওই সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে।

An image of Health Department

স্বাস্থ্য দফতর। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:২৭
Share: Save:

দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা নাগরিক এবং বস্তিবাসীদের সুবিধার্থে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিষেবা দেওয়ার সময়ের পরিবর্তন করল স্বাস্থ্য দফতর। সপ্তাহে দু’দিন সকাল থেকে দুপুরের পরিবর্তে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিলবে চিকিৎসা পরিষেবা।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছেন। প্রতিটি জেলা ও কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলাশাসকদের উদ্দেশ্যে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি আর্বান কমিউনিটি হেল্‌থ সেন্টার, আর্বান প্রাইমারি হেল্‌থ সেন্টার ও আর্বান হেল্‌থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের বহির্বিভাগে নতুন সময়সূচি চালু করতে হবে।

বলা হয়েছে, সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শনিবার পুরনো নিয়মেই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত পরিষেবা মিলবে সেখানে। কিন্তু মঙ্গল ও শুক্রবার শহর এলাকার ওই সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে। এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত, অর্থাৎ, ওই সময়ে যাঁর শেষ টিকিট হবে, তত পর্যন্তই রোগী দেখবেন চিকিৎসক। স্বাস্থ্যসচিবের জারি করা নির্দেশিকা মেনে চলতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিউটি রস্টার তৈরি করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সপ্তাহে দু’দিন নতুন সময়সূচি চালুর ব্যাখ্যা দিয়ে জানানো হয়েছে, শহর এলাকার জনসংখ্যার ২০-২৫ শতাংশ মানুষ বস্তিবাসী অথবা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে রোজগার করেন। তাঁদের মধ্যে রিকশাওয়ালা, পরিচারিকা, কাগজকুড়ানি, নির্মাণ শ্রমিক এবং হকারেরা রয়েছেন, যাঁরা প্রতিদিন ভোরে কাজে বেরিয়ে যান। ঘরে ফেরেন দুপুর বা বিকেলে। ওই শ্রমিকেরা এক দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেই তাঁদের মজুরি কাটা যায়। এর ফলে বহু সময়েই প্রয়োজন হলেও তাঁরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে যেতে পারেন না।

বেসরকারি জায়গায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে টাকা খরচ হয়ে যায় তাঁদের অনেকেরই। আর যাঁরা সময়ের অভাবে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং টাকার অভাবে বেসরকারি জায়গায় যেতে পারেন না, তাঁদের শরীরে রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকে। বহু ক্ষেত্রে প্রাণের ঝুঁকিও তৈরি হয়। রাজ্য প্যারামেডিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সমাজের প্রান্তিক স্তরে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে সরকার সব রকম চেষ্টা করছে। তারই অঙ্গ হিসেবে নতুন সময়সূচি চালু হতে চলেছে। তাতে অন্তত প্রান্তিক মানুষগুলিও তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE